ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায়,ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়,ডায়াবেটিস চিকিৎসায় নতুন উপায়,ডায়াবেটিস কমানোর উপায়,ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার,
ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায়,ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়,ডায়াবেটিস চিকিৎসায় নতুন উপায়,ডায়াবেটিস কমানোর উপায়,ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার,ডায়াবেটিস কেন হয়,ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়,ডায়াবেটিস সারানোর উপায়,


ডায়াবেটিস রোগ ও তার চিকিৎসা

মানুষের প্রসাবের যখন শর্করার উপস্থিতি হয় এবং রক্তে শর্করা বৃদ্ধিজনিত যেসব লক্ষণ দেখা দেয় যার ফলে শরীরে পুষ্টি শক্তি কমতে শুরু করে একেই বলা হয় ডায়াবেটিস। এতে বারবার প্রস্রাবের বেগ হয়।

কেন এ রোগ হয়?

যারা শ্বেতসারজনিত খাদ্য দ্রব্য গ্রহণ করে, আবার যারা চিন্তা-ভাবন বেশি করে, আবার যারা আলস্যতা বেশী করা, যারা অধিক নিদ্রা যাওয়া এবং অধিক মিষ্টিদ্রব্য খাওয়া প্রভৃতি কারণে এই রোগ জন্মাতে পারে। এছাড়াও বংশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে। অর্থাৎ পিতা বা মাতার এ রোগ থাকলে, তাদের সন্তানদের মধ্যে এ রোগ দেখা দেয়।

তাছাড়াও প্যান ক্রিয়ায় এর বিকৃতির ফলেও এ রোগ দেহে বাসা বাধে।


রোগের লক্ষণ

এ রোগ দেখা দিলে প্রস্রাবে শর্করা দেখা দেয়। শরারে কুণ্ডয়ন হয়। দেহ ক্রমে ক্রমে দুর্বল হয়ে যায়। দেহে কোন ধরনের ঘা হলে তা আর শুকাতে চায় না। শরীরে ফোড়া বা ব্রণ বেশী দেখা দেয়, অত্যাধিক পিপাসা বাড়ে। অধিক পরিমাণ ক্ষুধা বাড়ে। সব সময় কিছু না কিছু খেতে মন চায়। ডাক্তারের পরামর্শনুযায়ীই চিকিৎসা করান উচিত তবে খাওয়া-দাওয়া সম্বন্ধে ও চলাফেরা সম্বন্ধে সতর্ক থাকতে হবে।

কোন কোন জিনিস খাওয়া নিষেধ

ভাত, চিড়া, গুড়, মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য, আলু বিট প্রভৃতি খাদ্য অর্থাৎ যেসব জিনিসে শর্করা আছে সে গুলো খাওয়া একান্ত নিষিদ্ধ। নিয়মিত এক্সারসাইজ ও নিয়মিত আহার নিদ্রাসহ সবকিছুই রুটিনমাফিক হওয়া উচিত। মোট কথা হচ্ছে ডায়াবেটিসের জীবনটাই হলো সব বাধা ব্যতিক্রম কিছুই ছাড়া যাবে না।


বিঃ দ্রঃ মাঝে মাঝে রক্ত ও প্রস্রাবের সুগারের পরিমাণ কি তা পরীক্ষা করে জেনে নিতে হবে।

বহুমূত্র রোগ ও তার প্রতিকার

১। সোয়া তোলা পরিমাণ পুরাতন জামের বীচি ঘোষা ছাড়ায়ে পিষে নিতে হবে। পরে ঠাণ্ডা পানির সাথে মিশায়ে সকালে সেবন করবে। এভাবে নিয়মিত সেবন করতে থাকলে ইনশৃআল্লাহ বহুমূত্র রোগ ভাল হয়ে যাবে।

২। যজ্ঞ ডুমুর এক তোলা পরিমাণ ও এক চামচ কাঁটি মধুসহ সকালে ও রাত্রে নিয়মিত সেবন করিলে বহুমূত্র রোগ ভাল হয়ে যায়।

৩। খাঁটি মধু দুই চামচ ও গুলঞ্চের গুঁড়ো এক চামচ উত্তমরূপে মিশায়ে সকালে এবং রাতে সেবন করবে এভাবে নিয়মিত সেবন করলে বহুশূত্র রোগ ভাল হয়ে যায়।

৪। প্রত্যহ রাতে শয়নের পূর্বে আধা ছটাক পরিমাণ চুনের পানি সেবন করলে ঘোলা প্রস্রাব পরিষ্কার হয়ে যায়।

৫। খাওয়ার পরে আধা গ্লাস পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে একটি কাগ লেবুর রস ও তিন আঙ্গুলের এক চিমটি খাবার সোডা মিশায়ে পান করলে বহুমূ রোগ আরোগ্য হয়। ঘোলা ও হলদে প্রস্রাব হলেও তা সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যায়। নিয়মিত সেবন করলে মেহ প্রমেহ রোগ থাকলেও ভাল হয়ে যায় ।

৬। সকালে ২টি এবং বিকালে ২টি এ নিয়মে প্রত্যহ পাকা সাগর কলা অথবা কাঠালী কলা নিয়মিত খেলেও বহুমূত্র রোগ ভাল হয়ে যায়।

৭। কাঁচা আমলকীর রস আধা ছটাক হরিদ্রা চূর্ণ আধা তোলা ও দুই তোলা মধুসহ উত্তমরূপে মর্দন করে প্রত্যহ সকালে নিয়মিত ২১ দিন সেবন করলে মেহ প্রমেহ রোগ ভাল হয়।

৮। এক তোলা পরিমাণ প্রবহ একপোয়া পরিমাণ দুধের সাথে মিশায়ে আগুনে জ্বাল দিবে দুধ যখন শুকিয়ে যাবে তখন পরিমাণ মতো মধু দিতে উত্তমরূপে চটকায়ে ৭টি বড়ি বানায়ে নিবে। প্রত্যহ সকালে খালী পেটে একটি করে সাত দিন ৭টি সেবন করলে মেহ প্রমেহ রোগ হতে সম্পূর্ণ আরোগ্য হবে। 

৯। এক তোলা পরিমাণ বড় ডুমুরের বীজ সামান্য পানিসহ প্রত্যহ সকালে খাইলে বহু মূত্র রোগ ভাল হয়।

১০। এক তোলা পরিমাণ গাধাফুলের পাতার রস ও দুই তোলা পরিমাণ অড়হড় পাতার রস সকালে খালি পেটে সেবন করতে হবে। এভাবে কিছুদিন নিয়মিত সেবন করলে বহুমূত্র রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন