তেজপাতা কে বেশিরভাগ মানুষ শুধুমাত্র রান্নায় সুগন্ধি মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন । তাদের জন্য আজকের পোস্ট কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ । দেখতে কিন্তু কিছুই মনে হয় না, সাধারন পাতাটিকে কিন্তু এই পাতার অসাধারন স্বাস্থ্য উপকারিতা ভেষজ গুণ রয়েছে । এই পাতা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সেবন করে আপনি 15 থেকে 16 ধরনের রোগ থেকে চিরদিনের মত মুক্ত থাকতে পারবেন ।
আপনি জেনে অবাক হবেন রান্নার এই উপকারী মসলাটি শরীরের জন্য উপকারী । শুধুমাত্র তেজপাতা সঠিকভাবে এবং সঠিক নিয়ম মেনে খেলে অনেকগুলো রোগ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব ।
ছোট-বড় অনেক রোগ আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে। আপনার যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে নিয়ম মেনে তেজপাতা খেতে পারেন। এতে পেটের গন্ডগোল কোষ্ঠকাঠিন্য হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে কারণ তেজপাতা আপনার স্বাভাবিক হজম শক্তি ফিরিয়ে আনবে।
এখন হয়তো প্রতিটি বাড়িতেই দু-একজন করে প্রেসেন্ট পাবেন । ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন ওষুধ গ্রহণ করছেন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কিন্তু একটা দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে ।
এজন্য তেজপাতা ব্যবহার করতে পারেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে । যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই । যদি তেজপাতা দিনে দুইবার করে গ্রহণ করতে পারেন তাহলেই ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকবেন ।
তেজ পাতা ছবি |
যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে । কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে তেজপাতা খুব ভালো কাজ করে । তেজপাতা স্বাভাবিকভাবে আপনার হজম শক্তি ফিরিয়ে আনবে এবং কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে । শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেবে এবং অতিরিক্ত প্রসাবের সমস্যা তৈরি করবে ।
হজম রস তৈরি করবে তেজপাতায় থাকা এনজাইম দ্রুত খাবার ভাঙতে পারে । যার ফলে পেটের নানা ধরনের রোগ আছে যেমন গ্যাস এসিডিটি বদহজম টক ঢেকুর এই ধরনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা তেজপাতা খেতে পারেন ।
শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয় অতিরিক্ত প্রস্রাবের সমস্যা কমায় এবং হজম রস তৈরিতে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। তেজপাতায় থাকা এনসাইন দ্রুত খাবার ভাঙতে পারে ফলে যারা অন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য তেজপাতা অনেক উপকারী।
কিডনীতে পাথর হয়ে থাকলে আপনি তেজপাতা খেতে পারেন । একটি গবেষণা অনুযায়ী তেজপাতার শরীরের ইউরিয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে এটি কিডনির সমস্যা তৈরি করে । এবং অন্যান্য গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে। নিয়মিত তেজপাতা খেলে কিডনির পাথরের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে ।
তেজপাতা আপনার ব্যথা কে দূর করবে যে কোন মাথাব্যাথা, জয়েন্টের ব্যথা, মাথা ব্যথা, দাঁতের ব্যথা খুব দ্রুত উপশম করতে পারে । তেজপাতা সঙ্গে রেরের পাতা অর্থাৎ ক্যাস্টর পাতা পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে 20 মিনিট লাগিয়ে রাখলে ব্যথা কমবে। তেজপাতার তেল কপালে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা থাকবে না ।
যারা টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন তাদের জন্য তেজপাতা বেশ উপকারী। একটি গবেষণায় দেখা যায় দিনে অন্তত দুইবার তেজপাতা গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে । এটি প্রমাণ হয়েছে যে তেজপাতায় থাকা উপাদান ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যহারে নিয়ন্ত্রণে রাখে ।
তেজপাতা হাড়কে মজবুত করে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখে । কারণ তেজপাতায় আছে লুটিনো কাফিক্ট অ্যাসিট এই উপাদানগুলো হারকে মজবুত করে এবং কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় । উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে তাই শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেজপাতা খেতে পারেন।
তেজপাতা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে । এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান থাকায় এটি ক্যান্সার কোষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । একটি গবেষণা অনুযায়ী তেজপাতার ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে । আপনার শরীরের কোথাও ক্ষত হয়ে গেলে তেজ পাতার উপর ভরসা রাখুন । কারণ তেজপাতা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় এটি ক্ষত সারাতে দারুন ভাবে কাজ করে ।
এটি কার মত ছত্রাক সংক্রমণের বিরুদ্ধেও কাজ করতে পারে। গলা খুসখুস গলা ব্যাথা ঠান্ডা কাশি ইত্যাদি সারাতে তেজপাতার জুড়ি নেই ।
ব্যাকটেরিয়াতে চার থেকে পাঁচটি তেজপাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করুন পানি ঠান্ডা করে নিন একটি পরিষ্কার কাপড় পানিতে ভিজিয়ে বুক মুছুন কয়েকবার এটি করুন । আর খেয়াল রাখবেন যেন খুব বেশি গরম না হয় এতে উপকার মিলবে ।
যারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন বিষণ্ণ ও একাকী ফিল করে তারা তেজ পাতার উপর ভরসা করুন । যদি আপনার মন মেজাজ ভালো না লাগে তাহলে এক কাপ তেজ পাতার চা খেয়ে দেখতে পারেন । এটি আপনার স্নায়ু শান্ত করবে এবং উদ্বিগ্নতা কমাবে । এমনকি ভালো ঘুমের জন্য এ পাতা ভীষণ উপকারী ।
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে তেজপাতায় থাকা ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ।
সেই সঙ্গে তেজপাতায় উপস্থিত ফলিক এ্যাসিড একাধিক রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে ।
এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু উপকারী উপাদান এর সন্ধান পাওয়া গেছে তেজপাতায় । যেমনঃ- কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, এই উপাদানগুলো রয়েছে তেজপাতায় ।
এবার জেনে নিন কিভাবে তেজপাতা খাবেন । একটি বাটিতে তিন গ্লাস পানি নিয়ে ফুটাতে শুরু করুন । যখন দেখবেন পানি ফুটতে শুরু করেছে । তখন পানিতে দশটি তেজপাতা ফেলে দিন । পানি যখন ফুটতে ফুটতে এক গ্লাসের এর মত হয়ে যাবে । তখন জাল দেওয়া বন্ধ করে । পানিটা ছেঁকে নিয়ে সেই পানিটা চায়ের মত করে পান করুন ।
সতর্কতাঃ
কিছু কিছু ক্ষেত্রে তেজপাতা এড়িয়ে চলবেন তেজপাতা গর্ভবতী মায়েদের প্রস্রাবে ইনফেকশন ঘটাতে পারে ।
এছাড়া সার্জারি রোগীদের দুই সপ্তাহ তেজপাতা খেতে নিষেধ করা হয় । কারণ এটি স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে ।
তেজপাতা অন্যান্য শরীরে ভালো কাজ করলেও সেটা যে আপনার জন্য ভালো তা কিন্তু নয় । তাই যেকোনো কিছু গ্রহণ করার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসক এর পরামর্শ নিবেন ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানান ।
tag...
তেজপাতা উপকারিতা,তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা,তেজপাতা চুলের উপকারিতা,তেজপাতা ওয়েবসাইট,তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম,তেজপাতা ইংরেজি,তেজপাতার পানি খাওয়ার উপকারিতা,তেজপাতা গাছের ছবি,তেজপাতার চা খেলে কি হয়,তেজপাতা অপকারিতা,তেজপাতার ধোয়ার উপকারিতা,ত্বকের জন্য তেজপাতার উপকারিতা,দারুচিনি উপকারিতা,তেজপাতার ব্যবহার,তেজপাতার পানি,তেজপাতা ও মধুর উপকারিতা,ত্বকের জন্য তেজপাতার উপকারিতা,তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম,তেজপাতা অপকারিতা,দারুচিনির উপকারিতা ও অপকারিতা,তেজপাতার অপকারিতা,চুলের জন্য উপকারী গাছ,চুলের জন্য উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান,চুলের যত্নে তেলাকুচা পাতা,চুলের যত্নে লবঙ্গ,কারি পাতা,তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা,তেজপাতা উপকারিতা,তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম,তেজপাতার পানি খাওয়ার উপকারিতা,তেজপাতা ওয়েবসাইট,চুলের জন্য তেজপাতার উপকারিতা,তেজপাতার ব্যবহার,ত্বকের জন্য তেজপাতার উপকারিতা,