তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী পাতা ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলোঃ

তুলসি পাতা

তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক, তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, তুলসী পাতার রস খাওয়ার নিয়ম, চুলে তুলসী পাতার উপকারিতা, তুলসি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, কালো তুলসী পাতার উপকারিতা, খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা, কৃষ্ণ তুলসীর উপকারিতা, তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম, শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম, তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক, তুলসী পাতার উপকারিতা ত্বকের জন্য, তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম, তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা, শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম, কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম, তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয়, তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম, তুলসি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক, তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, তুলসি পাতার উপকারিতা, তুলসি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, তুলসি পাতা খাওয়ার উপকারিতা, তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম, তুলসি পাতা english, তুলসি পাতার অপকারিতা, তুলসি পাতা ও মধু, তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয়, তুলসি পাতার ছবি, তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা, তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক, তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয়, খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা, তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম, রাম তুলসী পাতার উপকারিতা, তুলসী পাতার রস খাওয়ার নিয়ম,


আয়ুর্বেদিক মতে তুলসীপাতা বিভিন্ন ব্যাধি ভালাে করে। হার্টের অসুখ ইসকিমিয়ার চিকিৎসায় তুলসীপাতা ভালাে কাজ দেয়। পাঁচবছর ধরে তুলসীপাতা নিয়ে গবেষনা করেছেন ডাঃ পি. জি. কুরুপ। তুলসীপাতা সেবনের কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই। যখন ইচ্ছা যতগুলি ইচ্ছা কঁচাপাতা চিবিয়ে খাওয়া যায়।

তুলসী পাতা ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলোঃ

১। রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করেঃ তুলসী পাতা একটি প্রাকৃতিক ঔষধি যা শরীরের প্রতিরোধশীলতা বাড়ানোর জন্য সহজলভ্য। তুলসীতে বিভিন্ন প্রকার পাচক এবং ভিটামিন ও মিনারেল আছে যা সম্পূর্ণ রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

২। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করেঃ  তুলসীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় উপাদানগুলি রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও তুলসী পাতা বিভিন্ন ক্ষতিকর উদ্ভিদে থাকা পথজল ও ক্যালশিয়ামের মাধ্যমে হৃদয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

৩। শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়তা করেঃ তুলসী পাতা ফ্লু এবং শ্বাসকষ্টের জন্য একটি উপকারী প্রাকৃতিক

তুলসী পাতায় চিকিৎসা- বনৌষধির মধ্যে তুলসী সর্বোৎকৃষ্ট বলে স্বীকার করা হয়েছে। মেটেরিয়া মেডিকা’-তে এই গাছকে সর্বোচ্চ স্থান দেওয়া হয়েছে।

দৈনন্দিন জীবনে তুলসীর প্রয়ােগ

১। কার্তিক মাসে প্রতিদিন প্রাতঃকালে দু-তিনটি করে তুলসীর পাতা খালিপেটে চিবিয়ে খেলে পুরাে বছর কোনও প্রকারের রােগ হবে না। কার্তিক মাসের আবহাওয়ায় তুলসীপাতার প্রয়ােগ সর্বদা দেহকে নীরােগ রাখে। 

২। তুলসীগাছ স্বভাববশতঃ সাত্বিকতা নিয়ে আসে ও চিত্তের একাগ্রতা আনে। এর কাছে বসলে বা দাঁড়ালে মানসিক একাগ্রতা জন্মে। 

৩। সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ কালে তুলসীর পাতা খাবার জলে দিলে ও খাদ্যবস্তুতে রেখে দিলে গ্রহণের সময় দূষিত আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে না। 

৪। তুলসীগাছ আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক বলে মানা হয়েছে। তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালালে এবং তুলসীগাছকে প্রদক্ষিণ করলে অপূর্ব মানসিক শান্তি প্রাপ্ত হওয়া যায়।

৫। তুলসীর গন্ধ রক্তবিকার নাশ করে।

৬। স্নান করার আগে তুলসীর কিছু পাতা জলে দিয়ে কিছুক্ষণ বাদে সেই জলে স্নান করলে কোনও প্রকার চর্মরােগ হয় না। 


৭। খাবার জলের পাত্রে তুলসী পাতা দিয়ে সেই জল পান করলে উদর সংক্রান্ত কোনও রােগ হবে না। 

৮। তুলসীর মালা, কণ্ঠী ধারণ করলে শরীর সর্বদা স্ফুর্তিময় ও সুস্থ থাকে। 

৯। তুলসী কামবাসনার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। কামশক্তিকে তো বৃদ্ধি করেই, কিন্তু সেটা সাত্বিক এবং সীমিত রূপে। 

১০। তুলসীপাতা চিবােলে দাঁতে পােকা লাগে না। দাঁত মজবুত, উজ্জ্বল হয় এবং দাঁতের আয়ু বৃদ্ধি হয়। 

১১। তুলসীপাতার রস নিয়ে মালিশ করলে হাড় শক্ত হয়, দেহ কান্তিময় হয়, দেহকে নীরােগ রাখে। সাবান, তেল, ক্রীম প্রভৃতির স্থলে তুলসীর রস প্রয়ােগ করলে নানাপ্রকার দৈহিক সুস্থতা লাভ হয়। 

ঋতুস্রাব বন্ধ করার উপায় 

কিছু কিছু স্ত্রীলােকের মাসে ১০/১২ দিন ঋতুস্রাব হয়ে থাকে কিংবা কিছু আগে পিছে হয়। এই রকম হলে তুলসীগাছের মূল তুলে চূর্ণ করে নিতে হবে। সাদা এবং মিঠে পানের সঙ্গে সেই চুর্ণ আধ চামচ দিয়ে খেতে হবে। এই রােগে তুলসী এবং পান একসঙ্গেই খেতে হবে। এইভাবে প্রায় একমাস খেলে অবশ্যই রােগ আরােগ্য হয়।

আধকপালী ভালো করার ওষুধ

এটি একপ্রকার মাথার যন্ত্রণা। এটি শুধুমাত্র মাথার অর্ধাংশে হয়ে থাকে। এতে রােগী খুবই কষ্ট পায়। এইরকম হলে তুলসীর কচি মঞ্জরী নিয়ে ছায়াতে শুষ্ক করে নিতে হবে এবং অল্প পেষণ করে নিতে হবে। মাত্র ২ গ্রাম মাত্রায় নিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চেটে খেতে হবে। এই ভাবে ব্যবহার করলে অবশ্যই সুফল পাওয়া যাবে। 

চোখ ওঠা রোগের ঔষধ

চোখ ওঠা একটি সংক্রামক রােগ। ঠাণ্ডা-গরমে ঘােরাফেরার ফলে এই রােগ হয়ে থাকে। এই অবস্থায় তুলসীপাতার রস চোখে কাজলের। মত লাগাতে হবে অথবা তুলসীপাতার রসে সামান্য মধু মিশিয়ে চক্ষুতে এক এক ফোঁটা দিতে হবে। এইভাবে দিলে চক্ষু উঠা, চোখে জল পড়া প্রভৃতি আরােগ্য হয়।


কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় 

পেট পরিষ্কার অর্থাৎ পায়খানা পরিষ্কার না হলে, গলার মধ্যেও তার প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, কাশি এবং সেই সঙ্গে মাথা ভার হয়ে থাকে। এই অবস্থায় ২০ গ্রাম তুলসী পাতার সঙ্গে ৫০ গ্রাম গােলাপী ফিটকিরি চূর্ণ করে এক একটি মটরের মতাে বটিকা তৈরী করে ছায়াতে শুষ্ক করে নিতে হবে। এবার এক-একটি বটিকা সকালে ও সন্ধ্যায় জলসহ সেবনে। কোষ্ঠবদ্ধতা, পায়খানার কষ্ট দূর হয়ে যাবে।


কুষ্ঠ রোগের ঔষধ 

এই রােগ হলে, তুলসীর রস নিরন্তর সেবন করা আবশ্যক। যদি আঙুল গলে যায়, এবং হাড়ে পর্যন্ত আক্রমণ করে, তবুও তুলসীর রসের এমন শক্তি যে কুষ্ঠ নীরােগ করে দেয়। যদি শ্বেত কুষ্ঠ হয়, তাহলে তুলসীর ৫ টি পাতা সকালে চিবিয়ে খেতে হবে। পাঁচটি পাতা দুপুরে এবং পাঁচটি পাতা সূর্যাস্তের আগে খেতে হবে বেশ কিছুদিন। তাতে উপকার হয়। তুলসীগাছের মূলের মাটির সঙ্গে তুলসীপাতা ঘষে দাগের ওপর প্রলেপ দিলে দাগ থাকে না।

গলিত কষ্ট হলে 

তুলসীগাছের মূল এবং শুঠ চুর্ণ গরম জলসহ পান করবে। তুলসীপাতার রস ও মধু মিশিয়ে চেটে খেতে হবে। যদি কুষ্ঠ খুব বেশী প্রভাব বিস্তার করে, তাহলে তুলসীপাতার রস ও গােমূত্র একত্রে মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় পান করতে হবে। 

গৰ্ভরক্ষা

গর্ভাশয়ের গােলমাল হয়ে যদি গর্ভপাত হয়ে যায়, তাহলে তুলসীর বীজ ২৫ গ্রাম নিয়ে পেষণ করে কাপড়ে ছেঁকে নিতে হবে। মাসিক ধর্মের দিনগুলিতে এইভাবে তিন মাত্রায় ভাগ করে প্রত্যহ একবার করে তিনবার খাওয়ালে উপকার হয়। 

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ওষুধ

তুলসী গর্ভনিরােধও করে থাকে। মাসিক ধর্ম শেষ হলে তুলসীর পাতা সিদ্ধ করে সেই ক্কাথ তিনদিন পর্যন্ত খাওয়ালে গর্ভ সঞ্চার হবে না ।

যৌন রোগের ওষুধ

পিপুলের মূল ২০ গ্রাম ও সমান মাত্রায় অশ্বগন্ধা, তােপচিনি, তাল মাখানা, নাগকেশর নিয়ে ১০০ গ্রাম তুলসীপাতার সঙ্গে সব একত্রে পেষণ করে, ২৫০ গ্রাম মধু মিশিয়ে আধ কিলাে চিনি দিয়ে চাটনি তৈরী করে ঠাণ্ডা করতে হবে, এবার ওতে সব দিয়ে মিশিয়ে জয়িত্রী, ছােট এলাচ ও কেশর দশ গ্রাম পরিমাণে প্রত্যেকটি নিয়ে পেষণ করতে হবে। তারপর সব একত্রে মিশিয়ে একটি স্বচ্ছ কাচের পাত্রে রাখতে হবে। এটি হলাে তুলসীর টনিক। শীতের দিনে প্রত্যহ ১০ গ্রাম সকালে চেটে খেয়ে ঈষদুষ্ণ গরম দুধ খেলে যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়।


দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর উপায়

দাঁতের যন্ত্রণা খুবই কষ্টদায়ক। দাঁতের যন্ত্রণা হলে তুলসীপাতা ও কালাে মরিচ পেষণ করে বটিকা তৈরী করতে হবে এবং যে দাঁতে যন্ত্রণা হচ্ছে, তার তলায় চেপে রাখলে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যাবে। 


দাঁতের পোকা কিভাবে বের করা যায়

তুলসীপাতার রসের সঙ্গে কপূর মিশিয়ে তাতে তুলাে ভিজিয়ে দাঁতের গােড়ায় রাখতে হবে তাহলে দাতের পোকা বের হয়ে যাবে ।

পাথুরি রোগের চিকিৎসা

এই রােগ হলে প্রস্রাবে কষ্ট দেখা দেয়। তলপেটে বেদনা দেয়। এই রােগ হলে রােগীকে এমনভাবে বসাতে হবে, যেন রোগীর  নিম্নঅঙ্গ (কোমর থেকে) নীচু ভাবে থাকে। এবার তুলসীমঞ্জুরীর ক্লাথ তৈরী করার জন্য আঁচে বসাতে হবে। তখন ক্লাথের পাত্রটি সহ রােগীর কোমরের নিচে রেখে ওপরে চাপা দিতে হবে। যেন রােগীর নিম্নাঙ্গে ভাপ লাগে। ভাপ যেমন যেমন মূত্রেন্দ্রিয়ের ওপর ছড়িয়ে পড়বে, সেই সেই রকম পাথুরি গলেপিচ্ছিল হয়ে মূত্রদ্বার দিয়ে বেরিয়ে যাবে। বিনা অস্ত্রোপচারে এই প্রয়ােগের সাহায্যে পাথুরি বেরিয়ে যায়। 

জন্ডিস হলে কি ঔষধ খাব

দেহে রক্ত কম হলে এই রােগ হয়। সারা দেহ হলুদবর্ণ হয়ে যায়। একে ন্যাবা ও ইংরাজীতে জণ্ডিস রােগ বলে। মূলাে এবং তুলসী রক্তাল্পতা দূর করতে সর্বশ্রেষ্ঠ তুলসীর রস ১০ গ্রাম এবং ৫০ গ্রাম মূলের রস একত্রে মিশিয়ে, তাতে গুড় মিশিয়ে খেলে আরােগ্য হয়। একমাস পর্যন্ত প্রত্যহ দিনের বেলা তিনবার খেতে হবে। তুলসীপাতা ৩ গ্রাম পুনর্নবাব মূল ৩ গ্রাম, দুটি একত্রে পেষণ করে ৫০ গ্রাম জলে গুলে সেবন করতে হবে। দেহে রক্তাল্পতার জন্য হলদে বর্ণ হলে, তা দূর হবে। রােগীও সুস্থ হবে। 


প্রসব বেদনা কমানোর উপায়

তুলসীপাতার রস খাওয়ালে প্রসবের কষ্টকর বেদনা কমে ও প্রসব হয়ে যায়। তুলসীর বীজ জলে ৩/৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর, ছেকে নিয়ে তার সঙ্গে মিছরিচূর্ণ মিশিয়ে সেবন করলে, প্রসবের বেদনা কম হয়। 


বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

শিশুদের জন্য মায়ের স্তনে প্রচুর দুধ থাকার প্রয়ােজন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রসূতির স্তনে দুগ্ধ থাকে না, আর থাকলেও খুব কম থাকে। এই অবস্থায় তুলসীপাতার রস এবং মকাই পাতার রস প্রত্যেকটি ১০ মিলিলিটার এবং অশ্বগন্ধা রস ও শাঁস ৫ মি.লি, ও মধু মিশিয়ে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রসূতিকে খেতে দিলে স্তনদুগ্ধ বৃদ্ধি হয়।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

তুলসীর ২১ টি পাতা এবং আমলকীচূর্ণ ১০ গ্রাম একটি বড় পাত্রে ঢেলে জল মিশ্রিত করে, দশ-পনের মিনিট পরে সেই জলে মাথা ভালভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে যাতে চুলের গােড়ায় সেই জল লাগে। যখন মাথা শুকনাে হয়ে যাবে, তখন ভালভাবে পরিষ্কার জলে মাথা ধুয়ে নারকেল তেল লাগাতে হবে। এতে চুলের গােড়া শক্ত হবে ও চুল কালাে হবে।

টাক মাথায় চুল গজানোর ঔষধ

এটি একটি ভয়ানক রােগ। রক্ত দৃষ্টি প্রভৃতি নানা কারণে এটি হয়ে থাকে। পিপুলের কলি ও তুলসীপাতা একসঙ্গে পেষণ করে টাকের ওপর লাগালে টাকপড়া আরােগ্য হয়। 


শক এর প্রাথমিক চিকিৎসা

বিজলী অর্থাৎ ইলেকট্রিক কারেন্ট লেগে যদি কেউ অজ্ঞান হয়ে যায়, তাহলে তার মাথায়, মেরুদণ্ডে তুলসী রস মর্দন করতে থাকলে কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান ফিরে আসবে। পায়ের তলাতেও তুলসার রস রগড়াতে হবে। হাতের তালুতেও এইভাবে দিতে হবে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়

খাবার পর একটি বা দুটি তুলসীর পাতা মুখে রেখে চিবিয়ে খাবে। মুখের দুর্গন্ধ কেটে যাবে দাঁতের পােকা-নষ্ট হবে ও পােকা লাগবে না। চোয়ালের দোষ হলে নষ্ট হয়ে যাবে।

রক্তস্রাব বন্ধ করার উপায়

যে কোনও কারণে দেহ থেকে রক্ত স্রাব হতে থাকলে এবং বন্ধ হয়ে তুলসীগাছের মূলচূর্ণ ৫ গ্রাম নিয়ে পানের সঙ্গে খাইয়ে দিলে রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। 


রাতকানা রোগের চিকিৎসা

তুলসীপাতার রস এক ফোটা করে দুটি চোখে দিতে হবে এবং প্রত্যেক ২ ঘণ্টা অন্তর সেবন করতে হবে। এইভাবে সকাল-সন্ধ্যায় দিতে হবে প্রত্যহ, এক মাস পর্যন্ত। মরিচও চোখের পুতলীর দোষ দূর করে। অতএব, মরিচ ভিজে কাপড়ে রাখতে হবে। তাহলে মরিচের দানাগুলি ফুলে উঠবে। তখন তার ছাল তুলে ফেলে রেখে দিতে হবে। তারপর তুলসীর রসের সঙ্গে পিষে বটিকা তৈরী করে নিতে হবে। সকাল-সন্ধ্যায় একটি করে বটিকা ঘষে চোখে কাজলের মতাে দিতে হবে প্রথমে চোখে একটু অসহ্য লাগবে। তারপর ঠিক হয়ে যাবে। এইভাবে কিছুদিনের মধ্যেই রাতকানা রােগ আরােগ্য হবে। 

অকাল বীর্যপাত

অনেক ক্ষেত্রে বিনা কারণেই বীর্যপাত হয়, এর প্রধান কারণ শুক্রতারল্য। বীর্যপুষ্টির জন্য নাটা-করঞ্জের বীজের শাঁস, তুলসীর বীজ ও পিপুল প্রত্যেকটি দ্রব্য ১০ গ্রাম পরিমাণে নিয়ে ছােট ছােট বটিকা তৈরী করতে হবে। এই একটি বটিকা সকালে আর একটি রাত্রে খেয়ে গরুর দুধ । পান করলে, বীর্য পুষ্ট হয়।

বীর্য ঘন করার উপায়

বীর্য তরল হওয়া নপুংসকতার পূর্বলক্ষণ বলা যায়। বীর্য গাঢ় এবং স্বচ্ছ হওয়ার দরকার। বীর্য তরল হলে তুলসীর বীজ ও মিছরি প্রত্যেকটি পঞ্চাশ গ্রাম পরিমাণে নিয়ে পেষণ করতে হবে। প্রত্যহ সকালে আড়াই গ্রাম। উক্ত চুর্ণ গরুর দুধের সঙ্গে সেবন করলে উপকার হয়। তুলসীর মূলও চুর্ণ করে মিছরিচূর্ণ সহ খেয়ে গরুর দুধ খেলে বীর্য গাঢ় হয়। 

দ্রুত বীর্য পাতের কবিরাজি চিকিৎসা

অনেক সময় বীর্যে নানপ্রকার দোষ দেখা দেয়, যার ফলে রতিমিলন করলে সঙ্গে সঙ্গে বীর্যপাত হয়ে যায়, নারী অতৃপ্ত থেকে যায়। এই অবস্থা দেখা দিলে তুলসীগাছের মূল এক টুকরাে সুপারির পরিবর্তে পানের মধ্যে দিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে তাহলে শীঘ্রপতন দূর হবে। 

স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির উপায়

স্বপ্নদোষ রােগ যুবকদের হয় ঘুমের ঘােরে স্বপ্নদোষে বীর্যপাত হয়ে যায়। এই অবস্থায় তুলসীর মূল পেষণ করে খেলে উপকার হয়। 


কানে কম শোনা ভালো করার উপায়

কানে কম শুনলে, অর্থাৎ শ্রবণশক্তি কম হলে কানে তুলসীর রস অল্প গরম করে সেই রস কানের মধ্যে সকাল-সন্ধ্যায় ফোটা ফোটা করে দিলে ভাল কাজ হয়।


tag...
তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক, তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, তুলসী পাতার রস খাওয়ার নিয়ম, চুলে তুলসী পাতার উপকারিতা, তুলসি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, কালো তুলসী পাতার উপকারিতা, খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা, কৃষ্ণ তুলসীর উপকারিতা, তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম, শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম, তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক, তুলসী পাতার উপকারিতা ত্বকের জন্য, তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম, তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা, শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম, কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম, তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয়, তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার নিয়ম, তুলসি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক, তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, তুলসি পাতার উপকারিতা, তুলসি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, তুলসি পাতা খাওয়ার উপকারিতা, তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম, তুলসি পাতা english, তুলসি পাতার অপকারিতা, তুলসি পাতা ও মধু, তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয়, তুলসি পাতার ছবি, তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা, মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা, তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক, তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয়, খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা, তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম, রাম তুলসী পাতার উপকারিতা, তুলসী পাতার রস খাওয়ার নিয়ম,

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন