হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে খুব দ্রুত যা খাবেন

হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ একটি দীর্ঘস্থায়ী ক্রনিক অসুখ । রক্ত চাপ যদি নিয়ন্ত্রনে না থাকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি বাড়তে থাকে । তবে শুরুতেই যদি প্র
হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয়, হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ, হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়, গর্ভাবস্থায় প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয়, প্রেসার বেড়ে গেলে কি খাওয়া উচিত নয়, হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ, হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণ, প্রেসার কমানোর দোয়া, হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়, হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে যা খাবেন, হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণ, প্রেসার হাই হওয়ার লক্ষণ, প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে, হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ, গর্ভাবস্থায় প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয়, প্রেসার কমানোর দোয়া, হাই প্রেসার কমানোর হোমিও ঔষধ, দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়, হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়, হাই প্রেসার কমানোর খাবার, হাই প্রেসার কত, প্রেসারের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম, খালি পেটে প্রেসারের ঔষধ, হাই প্রেসার এর লক্ষণ,



হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ একটি দীর্ঘস্থায়ী ক্রনিক অসুখ । রক্ত চাপ যদি নিয়ন্ত্রনে না থাকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি বাড়তে থাকে । তবে শুরুতেই যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা সঠিকভাবে তৈরি করা যায় । তবে উচ্চ রক্তচাপ একদম নিয়ন্ত্রনে আসবে । আজ ৮টি খাবার সম্পর্কে আলোচনা করব যা উচ্চ রক্তচাপের জন্য প্রতিদিন অবশ্যই আপনাকে খেতে হবে । এবং এমন ৮টি খাবারের নাম বলবো, যা কখনোই খাবেন না, কিন্তু আমরা বেশি খাচ্ছি ।

কফি খেলে কি ক্ষতি হয়


কফি খেলে সাময়িক সময়ের জন্য রক্তচাপ বেড়ে যায় । তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সম্যসা আছে, তাদের জন্য কফি খাওয়া একদম নিষেধ । কারণ ক্যাফিন রক্তনালীকে শুরু করে দেয় । ফলে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া রক্ত চাপের ফলে স্ট্রোক হতে পারে । তাই উচ্চরক্তচাপ থাকলে কফি বা অতিরিক্ত চা পানের অভ্যাস একেবারে বাদ দিবেন । তার বদলে প্রতিদিন ১ থেকে ২ কাপ গ্রিন টি খেতে পারেন ।


অতিরিক্ত লবণ খেলে কি হয়

লবণ উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ হলো শরীরের মধ্যে মাত্রা অতিরিক্ত সোডিয়াম জমা হওয়া । আর ঐশ্বরিয়া মন থেকে আসে বিশেষত আমরা যে আয়োডিনযুক্ত পরিশোধিত সাদা লবণ খাচ্ছি ।  এটাতেও সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি তাই খুব সীমিত পরিমাণে লবণ খেতে হবে ।

লাল মাংস

উচ্চরক্তচাপের লাল মাংস অর্থাৎ গরু খাসির বা মহিষের মাংস একেবারে বাদ দিতে হবে । অথবা আপনি 10 দিন 15 দিন পর একবার খেতে পারেন।  তাও গ্রাম থেকে 100 গ্রাম এর বেশি নয় কারণ এই লাল মাংস খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় যা হৃদরোগের কারণ হয় ।

চিনি বা চিনিযুক্ত খাবার

উচ্চ রক্তচাপের চিনিযুক্ত যেকোন খাবার একদম বর্জন করতে হবে । কেক পেস্ট্রি থেকে শুরু করে বাজারে পাওয়া যাওয়া জুস প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর । এগুলো মেদ বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তে ব্যাদ কোলেস্টরেল বাড়াতে থাকে এভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি উচ্চ রক্তচাপ বাড়ে ।

ডিমের কুসুম এবং মুরগির চামড়া

বিশেষ করে ফার্মের মুরগির চামড়া ডিমের কুসুম খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক তা হল যে আপনি প্রতিদিন ১টি ডিম ১টি কুসুম সহ খেলে কোন সমস্যা নেই । কিন্তু সে জায়গায় যদি তিন থেকে চারটা ডিমের কুসুম খাওয়া হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ক্ষতি আছে । এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রথমটার কুসুমসহ খাবেন বাকিগুলোর সাদা আংশ খাবেন যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে । 

আচার এবং সস জাতীয় খাবার

যা আমরা খুব পছন্দ করি পুরি সিঙ্গারা সাথে খাওয়া । কিন্তু এগুলো উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় । এছাড়াও যেকোন ফাস্টফুড, বেকারির খাবার অ্যালকোহল এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে । উচ্চ রক্তচাপ যদি নিয়ন্ত্রণ করতে চাই । 

এবার আসুন আমরা চারটি খাবারের কথা জানব যেগুলো আমাদের রক্তচাপ ইনস্ট্যান্ট নিয়ন্ত্রণ করে ফেলবে । 

জবা ফুলের চা এর উপকারিতা

জবা ফুলের চা তে এমন অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি properties-রয়েছে যা নিমিষেই আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে । কারণ এই পানীয়টি ব্লাড ভেসেল এর কর্ম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে । ফলে ব্রেইন এবং হার্টের কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একদম থাকে না । যেহেতু আমাদের দৈনিক অভ্যাস, তাই একবার যদি আপনি জবা ফুলের চা খেতে পারেন তাহলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে । 

জবা ফুলের চা বানানোর নিয়ম

জবা ফুলের চা বানানোর জন্য দুই কাফ পানিতে জবা ফুলের শুধুমাত্র পাপড়ি মিশিয়ে দিন।  তারপর তিন থেকে চার মিনিট ফুটিয়ে নিন তারপর সেই ফুটানো পানি ছেঁকে পান করুন । যদি আপনার ডায়াবেটিস না থাকে তাহলে এতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন । 


এবার আসুন দ্বিতীয় খাবারটি যেটা আমাদের ব্লাড প্রেসার টাকে ইনস্ট্যান্ট অর্থাৎ তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সেটা হচ্ছে টক দই ।

টক দই এর উপকারিতা

ঘরোয়া ভাবে দুধ দিয়ে তৈরি টক দইটা সেটা কিন্তু আপনার ব্লাড প্রেসারকে একদম নিয়ন্ত্রণ করে ফেলবে যেটাতে চিনি নেই । কারণ টক দই ব্যাকটেরিয়াল ল্যাপটসকে এসিড তৈরি করে । উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে । দুপুরে খাবারের পর ১০০ গ্রাম টক দই নিয়মিত খাবেন । তবে এই টক দই এর সঙ্গে কোন প্রকার লবণ অথবা চিনি মেশাতে যাবেন না । তাহলে উপকারের থেকে অপকারই বেশি হবে ।


মেথির পানির উপকারিতা

মেথির পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার । যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।  এ জন্য প্রতিদিন রাতে এক বিশুদ্ধ পানিতে এক চা চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন । তারপর সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে উষ্ণ এক লিটার পানি পান করার পর, এই মেথি  চিবিয়ে খান । এবং সাথে মেথি ভেজানো পানি পান করে নিন । যদি প্রতিদিন আপনারা এই মেথি খাওয়ার নিয়ম মানতে পারেন, তাহলে উচ্চরক্তচাপের পাশাপাশি আপনার অন্যান্য রোগ ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইনশাআল্লাহ । 

আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা

সব ধরনের ভিনেগার এর মধ্যে আপেল সিডার ভিনেগার সবচেয়ে উপকারী । পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই ভিনেগার শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও টক্সিক বের করে দেয় । এতে রেনিন এনজাইমের উপস্থিতি থাকায়, এটি রক্তচাপ হ্রাস করে । উচ্চ রক্তচাপ কমাতে একগ্লাস উষ্ণ পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে রাতে খাবারের আধ ঘণ্টা আগে পান করুন । তবে খেয়াল রাখবেন অ্যাপেল সিডার ভিনেগার কখনো ধাতব পাত্রে রাখবেন না । এবং অ্যাপেল সিডার ভিনেগার কেনার আগে ৫% এসিডিটি দেখে কিনুন । 

এরপরে খেতে পারেন কাঁচা রসুন, পাকা কলা, ডার্ক চকলেট লেবুর পানি এই প্রত্যেকটা খাবারেই এমন উপাদান রয়েছে যা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলবে ।


তাহলে ইনশাল্লাহ ব্লাড প্রেসার হাই হয়ে যাবে হই লেবুর পানি খাবেন অথবা পাকা কলা খাবেন, কাঁচা রসুন খাবেন। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অথবা মিথির পানি অথবা টক দই অথবা জবাফুলের চা । এই নাম গুলো মনে রাখবেন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সবসময় আপনার কাজে আসবে ইনশাল্লাহ ।


tag...
হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয়, হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ, হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়, গর্ভাবস্থায় প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয়, প্রেসার বেড়ে গেলে কি খাওয়া উচিত নয়, হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ, হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণ, প্রেসার কমানোর দোয়া, হঠাৎ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়, হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে যা খাবেন, হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণ, প্রেসার হাই হওয়ার লক্ষণ, প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে, হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ, গর্ভাবস্থায় প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয়, প্রেসার কমানোর দোয়া, হাই প্রেসার কমানোর হোমিও ঔষধ, দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়, হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়, হাই প্রেসার কমানোর খাবার, হাই প্রেসার কত, প্রেসারের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম, খালি পেটে প্রেসারের ঔষধ, হাই প্রেসার এর লক্ষণ,

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন