বাতাস লাগার এবং নজর দোষের পানি পড়া মন্ত্র

মওলানা আবদুল হক দাহলবী (রাহঃ) সাহেব তাঁর কেতাবের মধ্যে লিখেছেন যে, ফজরের সুন্নত নামাজ পাঠ করে একটি পেয়ালাতে পানি নিয়ে উক্ত পানিতে বিস্‌মিল্লাহ সহ ৪০

নজর দোষ ও সর্বপ্রকার পানি পড়া মন্ত্র


প্রথম পানি পড়ার নিয়ম 

যে যতটা পানি পান করতে পারবে সেই অনুপাতে পানি একটি পাত্রে নিয়ে উক্ত পানির উপরে নিম্নলিখিত দরূদ ও ইসমগুলি পাঠ করে ফুক দিয়ে পান করতে দিবে। মর্জি খােদার নজর দোষ জনিত পেটের ব্যাধি ভাল হয়ে যাবে। আর যদি কোন দুগ্ধ পােয্য শিশু দুগ্ধ বমি করে এবং অনবরত পাতলা পায়খানা করে। তবে তার প্রতিকারের জন্য একটু বেশী মাত্রায় পানি নিয়ে নিম্নলিখিত দোয়া দরূদ পাঠ করে উক্ত শিশুকে এবং উহার মাতাকে পান করতে দিবে। আরও বলে দিও যে ওই পড়া পানির কিছু অংশ নিয়ে প্রসূতি তার কোলে একটি জাম-বাটি বা থালা রেখে উক্ত পানির দ্বারা যেন নিজের স্তন দুইটি ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলে আর ঐ স্তন ধােয়া পানি। যাহা জাম বা থালায় পড়বে, উক্ত পানিকে যেন পুকুরে বা খড়ের চালের উপরে ফেলে দেয়। মােটকথা এমন জায়গায় ফেলবে যেন তাহাকে কেহ মাড়িয়ে না যায়। কারণ ইসম পড়া পানিকে পদদলিত করলে মস্ত বড় বেআদবী হবে। কাজেই খুব সাবধান। আর এই পানি পড়াটি সর্ব প্রকার পানি পড়ার জন্য মহৌষধ।

প্রথমে এই দরূদ শরীফটি এগার বার পাঠ করে এগারটি ফুক দাও।

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়িদিনা মোহাম্মাদীন বে-আদাদে কুল্লি দায়িন আ দাওয়ায়িন।



তারপর বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা ৭ বার পাঠ করে সাতটি ফুক দাও। আর আলাম নাহলাকা সূরা বিসমিল্লাহ সহ পাঠ করে তিনটি ফুক দাও। এরপর নিচের লিখিত দোয়াটি সাতবার পাঠ করে সাতটি ফুক দাও।

উচ্চারণঃ অমা আন্ফা‌ক্তু‌ম্ মিন্‌ নাফাকাতীন আওনাজারতুম্‌ মিন্‌ নাজারীন ফাইন্নাল্লাহা ইয়ালামহু অমালিজ জালিমীনা মিন আনসার ।

তারপর বিসমিল্লাহ সহ সূরা এখলাস সাতবার পাঠ করে সাতটি ফুক দাও। তারপর সূরা ফালাক সাতবার পাঠ করে সাতটি ফুক দাও। এরপর সূরা নাস বিসমিল্লাহ সহ সাতবার পাঠ করে সাতটি ফুক দাও।

তারপর নিম্নলিখিত দরুদ শরীফটি এগার বার পাঠ করে এগারটি ফুক দাও। এবং রােগীকে পান করতে দাও। আর ঐ পানি পান করার পর কিছু পানি রােগীর চোখে মুখে ও পেটে মালিশ করতে উপদেশ দিবে।


উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়িদিনা মােহাম্মদীন্‌ বি-আদাদি কুল্লি ইল্লাতিন ওয়াশিফায়িন।। 



দ্বিতীয় প্রকার পানি পড়া

নজর দোষ জনিত পেট ফাঁপ হলে এবং পেট হড় হড় ও গড় গড় করলে এবং পাতলা পায়খানা হলে, পুকুর বা নদী হতে গ্লাস, ঘটি বা ভাঁড়ে করে নিশ্বাস বন্ধ করে পানি তুলে এনে উক্ত পানিতে নিম্নলিখিত মন্ত্রটিকে তিনবার পাঠ করে তিনটি মন্ত্র পাঠ করা ফুক এবং একটি ফাঁকা ফুক দিয়ে পান করতে দিবে। এই রূপে তিন দিন পর্যন্ত করলে মর্জি খােদার পেটের অসুখ ভাল হয়ে যাবে।

পানি পড়া মন্ত্রঃ
আউওয়ালে রাহমান নাম লেকার
দুয়মে হজরত রসুল। 
সিয়ামে পঞ্জেতান কি ফ্যাজাল
চাহারামমে চার ইয়ার মাকবুল।। 
লে কর খাস্ খােদাকা নাম।
আওর কোরআন কা বাণী। 
ইয়া রাহমান ইয়া রাহমান
ইয়া রাহমান ইয়া রাব্বানী।।
বাদ নাজার দূর করদে
আল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। 
এ পানিছে হ্যর ম্যারাজ ছুট যায়ে
এয়া রাহমান রাহেমীন্।। 




তৃতীয় প্রকার পানি পড়া নিয়মঃ

মওলানা আবদুল হক দাহলবী (রাহঃ) সাহেব তাঁর কেতাবের মধ্যে লিখেছেন যে, ফজরের সুন্নত নামাজ পাঠ করে একটি পেয়ালাতে পানি নিয়ে উক্ত পানিতে বিস্‌মিল্লাহ সহ ৪০ বার সূরা ফাতেহাটিকে পাঠ করে চল্লিশটি ফু দিয়ে উক্ত পানি পড়া যে কোন রোগীকে পান করানো যায় উহার যে কোন ব্যাধি হউক না কেন আরোগ্য হয়ে যায় । এমন কি উক্ত পানি পড়া পান করলে ভূত, প্রেত, জ্বিন, খব্বিস পর্যন্ত ছেড়ে যায় ।


এই ছিল আজকের পোস্ট আপনার কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানান । আর যদি এই সাইট থেকে কিছুটা উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে , আমার এই পোস্ট সেয়ার করে দিবেন । ধন্যবাদ 💗

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন