যে কোন মানুষকে বশ করার কুরআনী আমল

মেয়ে বশিকরণ তদবীর

ইসলামি বশিকরণ নিয়ম

হযরত আল্লামা আছগর সাহেব (মরহুম) কিতাবে লিখিয়াছেন, যদি কোন লোক কাহাকেও তাহার মহব্বতে আবদ্দ করিতে আকাঙ্খা করে, তবে সে ব্যক্তি যে কোন চন্দ্র মাসের প্রথম শুক্রবার ফজর নামাজের পর হইতে প্রত্যহ চল্লিশবার করিয়া একাধারে ৪০দিন পর্যন্ত নিছের আযীমতটি বা দোযাটি পাঠ করিবে । এই আম করিবার সময় কোন প্রকার মাছ মাংস খাইবেন না । কোন হারাম বস্তু পানাহার করিবে না । এবং মিথ্যা কথা বলিবে না । তবে খেয়াল রাখিবে এই আমল কোন হারাম নিয়াতে করিবে না । করিলে ক্ষতিগ্রস্থ হইবে এবং গুণাহগার হইবে । আযীমত বা দোয়াটি এইঃ 

বাংলা উচ্চারণঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম । ইলাহী বিহুরমাতি জিব্রাঈলা ওয়া মীকাঈলা ও ইস্রাফীলা । ওয়া তাওরাতা মূছা ওয়া ইঞ্জিলা ঈছা । ওয়া ফুরকানা মুহাম্মাদুর রাছূলুল্লাহি, ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামা । 

বশিকরণ দোয়া

যদি কোন লোক অন্য এক লোকের মহব্বতে ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করিতে আকাঙ্খা হইলে, নিম্নেক্ত আয়াতে মহব্বত এশার নামাজের পরে বিছমিল্লা সহ চৌদ্দবার পাঠ করিয়া চিনি, মিশ্রি বা যে কোন মিষ্টি বস্তুর উপরে প্রতিবারে ফুক দিবে । তারপর ঐ বস্তু যাহাকে ভক্ষণ করাইবে সে তাহার উপর আশেক ও পাগল হইয়া যাইবে ।

উচ্চারণঃ ইয়ুহিববূনাহুম কাহুবিবল্লাহি ওয়াল্লাযীনা আমানূ আসাদ্দু হুববান লিল্লাহি ।

পান পড়া বশীকরণ দোয়া

নিচের আয়াত শরীফ তিনবার পড়িয়া একটি পানের উপর ফু দিয়া অথবা জাফরানের কালি দ্বারা পানের উপড় লিখিয়া যাহাকে খাওয়াবে সে তাহার মহব্বতে একাকার হইয়া ছুটিয়া আসিবেআয়াত এইঃ 
ফাছাইয়াকফীকা হুমুল্লাহু ওয়া হুওয়াচ্ছামীউল আলীমু ।

ছেলে মেয়ে বশীকরণ তাবিজ

যদি কাহাকেও জায়েজ তরিকায় প্রেমে বা মহব্বতে আবদ্দ করিতে আকাঙ্খা করে । তবে নিচের নকশাটি জাফরানের কালি দ্বারা লিখিয়া কবজ বানাইয়া প্রেমিকার গৃহের পাশে লটকাইয়া রাখিবে । আল্লাহর রহমতে যখন কবজ বাতাশে নড়াচড়া করিতে থাকিবে তখন প্রেমিকা বা প্রেমিক অস্থির চিত্তে উন্মাদ হইয়া তাহার নিকট ছুটিয়া আসিবে । নকশাটি এইঃ


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন