চোর ধরার আমল

চোর ধরার পরিক্ষিত আমল
চোর ধরার মন্ত্র, জমি ফিরে পাওয়ার আমল, চোর ধরার সহজ উপায়, চুরি হওয়া টাকা ফিরে পাওয়ার দোয়া, চোর চেনার উপায়, টাকা চুরি হলে করনীয়, মোবাইল চোর ধরার উপায়, কিভাবে চোর ধরা যায় ।

চোর ধরার তদবীর

যদি কারো কোন বস্তু চুরি হয়ে যায, এবং তাঁর কোনরূপ সন্ধান পাওয়া না যায় । কাজেই কে তা চুরি করেছে, যদি কেহ তাঁর সন্ধান জানতে ইচ্ছা করে, তবে নিম্নলিখত তদবীরগুলি করলে মর্জি খোদার কতক কেমন অবস্থা এবং সন্ধান পাওয়া যাবে । 

প্রথম প্রকারঃ প্রথমে একটি বদনাকে ধুয়ে মেজে নাও । এই বদনাটী মৃত্তিকা নির্মিত লাল রঙের হলেই ভাল হয় । নচেৎ অভাব বশতঃ অন্য ধাতুর তৈয়ারী বদনা হলেও চলে । যা হোক উক্ত বদনার উপরি ভাগের চতুষ্পার্শের গায়ে নিম্নলিখিত নাম চারটি কালী দিয়ে লিখ,

তারপর যাদের উপরে চুরির সন্দেহ হয়, তারপর যাদের উপরে চুরির সন্দেহ হয়, তাদের নামগুলি পৃথক ভাবে কাগজে লিখে রাখ, আর ওই বদনাটির কানাসেত ডাহিন হাতের শাহাদ ডগাদিয়ে ১২/১৪ বৎসরের দুইটি ছেলেকে দুই পাশ দিয়ে ধরে শূন্যে তুলে ধরতে বল ।

তারা বদনাটি আঙুলের সাহায্যে ধরে শূন্য তুলে ধরলে, তুমি তােমার লেখা এক একটি কাগজ উক্ত বদনার ভিতরে দিতে থাক এবং সুরা ইয়াসিন শরীফে হতে প্রথম মােবিন পৰ্য্যন্ত পাঠ করে ফুক দাও। 

এররূপে সাতবার ফুক দিয়ে দেখো যদি বদনাটি না ঘুরে, তবে প্রথমের দেওয়া নামটি তুলে নিয়ে অন্য একটি নাম দাও"। 

পূর্বোক্তরূপে সূরাটির এক মােবিন পর্যন্ত সাতবার পাঠ করে সাতটি ফুক দাও। এইরূপে নামলেখা কাগজগুলি পরপর বদনার মধ্যে দিতে থাক এবং উক্ত সুরাটির উক্ত স্থান পৰ্য্যন্ত পাঠ করে ফুক দিতে থাক। যার নাম দেওয়ার ফলে বদনাটি ঘুরবে উক্ত ব্যক্তি চুরি করেছে জেনে নিবে।

চোর চেনার উপায়

দ্বিতীয় প্রকারঃ খুব সকালে সাদা রঙ বিশিষ্ট বাঁক দেওয়া মােরগকে একটি ধোয়া ছােট রকম ঝুড়ার মধ্যে ঢেকে রেখে দিবে। আর যাদের উপরে চুরি করার সন্দেহ হয় সেই সমস্ত লােকগুলিকে ডেকে একত্রিত করবে। 

আর ওই মােরগ ঢাকা ঝুড়ীটির উপরে আয়াতুল কুরসীর “হুমুল খালিদুন” পৰ্য্যন্ত সাতবার পাঠ করে সাতটি ফুক দাও। আর যাদের উপরে চুরির সন্দেহ হয়েছে তাদের প্রত্যেককে এক উক্ত ঝুরির উপরে ডাহিন হাতটি স্থাপন করতে বল।

আর তুমি উক্ত আয়াতুল কুরসীটি পাঠ করে ফুক দিতে থাক। এরফলে যে ব্যক্তি চোর সে ব্যক্তি উক্ত ঝড়টির উপরে হাত দেওয়া মাত্রই । মােরগটি বাঁঙ দিয়ে উঠবে।

চোর ধরার কুরআনি আমল

তৃতীয় প্রকারঃ তারাঞ্জ নামিত গাছের কয়েকটি পাতা এনে উহার উপরে নিম্নলিখিত আয়াতটি প্রত্যেক পাতার উপরে লিখে উক্ত পাতাগুলিকে পর পর আগুনে জ্বালাতে থাক। এরফলে যে ব্যক্তি চুরি করেছে তার পেটে দারুন এবং দুঃসহ বেদনা ধরবে। এবং যন্ত্রণায় ছট ফট করতে থাকবে। যখন সে চুরির সম্বন্ধে মেনে নিবে তখন পেটে বেদনা কমে যাবে। এই আয়াতটি উক্ত পাতার উপরে লিখ।

আরবীতে লিখতে কম্পিউটার দিয়ে আরবী লিখতে পারি না আমি । এই বইয়ের pdf ফাইল নিতে যোগাযোগ করুন ।

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম। আস্‌সারিকু ওয়াস সারিকাতু ফাকতায়ু আইদিয়াহিমা জাযায়াম বিমা কাসাবা নাকালাম মিনাল্লাহি ইলাহি বা হাক্কি কিবরিয়া । 

চোর ধরার চাল পড়া

কারো কোন জিনিস চুরি হয়ে গেলে, যদি কারো উপর চুরির সন্দেহ হয় । তাহলে বাজার হতে আতব চাল কিনে আনবেন । আর যদি বাড়ীতে থাকে তাহলে হবে । তাঁরপর উক্ত আতব চাউলের উপর আয়াতুল কুরসি ৭ বার পাঠ করে সাতটি ফু দিয়ে যাদের উপর চোরের সন্দেহ তাদের কিছু চাল খেতে দিবে । যে চুরি করেছে তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত বের হবে অথবা চাল খেতে পারবে না । চাল যদি গিলে খেয়ে ফেলে তাহলে পেটের ব্যাথা শুরু হয়ে যাবে । যতক্ষন পর্যন্ত চুরির কথা মেনে না নিবে । ততক্ষন তাঁর সম্যসা হতে থাকবে । এটা আমার পরিক্ষি আমল ।


আমি যে বই থেকে এই পোস্ট লিখলাম সেই বই যদি আপনি নিতে চাই তাহলে আমার whatsapp মেসেজ করুন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন