বশীকরণ
বশিকরণ মূলত তন্ত্র মন্ত্র বিভিন্ন নকশার মধ্যমে করা হয় । বশিকরণ বা কবিরাজি বহু যুগ আগে থেকে প্রচলন হয়ে আসছে । বশিকরণ করা হয় ছেলে বা মেয়ে মানুষের উপর এটা করা হলে ছেলে মেয়ে নিজের প্রতি আকৃষ্ট হয় । ধরেন আপনি একটা মেয়েকে ভালোবাসেন কিন্তু মেয়ে আপনাকে ভালোবাসে না । তখন বশিকরণ করা হয় যাতে মেয়েটি ছেলেটিকে ভালোবাসে । বশিকণ করার কয়েকটি নিয়ম তুলে ধরা হলোঃ-
বশীকরণ মন্ত্র
মন্ত্রঃ ইন্না আত্বেন শয়তানা
মেরা শিকল বন্ অমুকী কে পাছ জানা
উছে মেরে পাছ লানা
না লাবে তো তেরী বহন্ ভানজী পার
তী ছো তিন তালাক
কিছকা আজ্ঞে মা কালী কা আজ্ঞে ।
নিয়মঃ খাটের পায়ার কাছে উলঙ্গ হয়ে বসে উক্ত মন্ত্র ১০১ বার গুড়ের উপর জপ করে ফুক দিবে এর পর গুড় খাটের নিচে রেখে শুয়ে পড়বে সকালে উঠে সেই গুড় ছোট ছেলে-মেয়েদের ভাগ করে দিবে । তাহলে অভিলষিত নারী বশীভূত হবে এবং ৭দিনের মধ্যে তোমার সামনে আসবে ।
বিঃদ্রঃ মন্ত্রের যেখানে অমুকী শব্দ আছে সেখানে যাকে বশ করবে তাঁর নাম বলতে হবে ।
দূর থেকে বশীকরণ
বশীকরণ টোটকা
রবিবার দিন ব্রহ্মদণ্ডী, বচ, কূট এই সবের চূর্ণ যাকে পানে ভরে দেওয়া যাবে সে সদাই বশীভূত থাকবে।
বটের শিকড় জলে পিষে ভস্ম মিশিয়ে লাগিয়ে দিলে সবাই বশীভূত হবে।
সহদেবীকে ছায়ায় শুকিয়ে জলের সাথে মিশিয়ে যাকে দেবে সেই বশীভূত হবে।
সর্ষে, দেবদালীর গুলি বানিয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তি মুখে রেখে যাকে সম্ভাষণ করবে সেই বশীভূত হবে।
হরতাল, মেনসিল, সৌফ কেশর এই সবগুলিকে পিষে অনামিকার দ্বারা তিলক কাটলে যে তা দেখবে সেই বশীভূত হবে।
গোরোচন, কাংগনী, লালচন্দন ও পদ্মপাতা একসাথে পিষে তিলক কেটে পরলে যে তা দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।
সাদা ঘুংঘচীকে কপিলা গাইয়ের দুধে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।
সাদা আকন্দ ছায়ায় শুকিয়ে কপিলা গাইয়ের দুধে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।
সাদা দুর্বা কপিলা গাইয়ের দুধে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।
বিজৌরা, লেবু, বেলপাতা, ছাগলের দুধে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।
ঘীক্বার-এর শিকড় ভাং-এর বীজের সাথে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।
হরতাল, অশ্বগন্ধা, সিন্দুর এই সবগুলিকে কলার রসে পিষে তিলক লাগালে বশীকরণ হয়।
চুল দিয়ে বশীকরণ
যে কাজ করিলে,, অবাধ্য নারীও পুরুষ বাধ্য হবে, পছন্দের মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, যেকোনো মানুষকে বশীভূত করা যাবে ,,যাকে বশীভূত করতে চান তার মাথার চুল প্রথমে সংগ্রহ করতে হবে, এবং সংগ্রহন কৃত চুল সংরক্ষণ করে রাখবেন এরপর ঐ দিন রাতে গোসল করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন এবং ১১১ বার আল্লাহু সামাদ পাঠ করে ঐ চুলে ফুঁ দিবেন এরপর যথাযথ মোনাজাত করবেন এরপর পরের দিন সকালে যাকে মাথার চুল নিয়েছেন বা যাকে বশীভূত করতে চান তার বাড়ীর আশপাশের যেকোনো গাছে চুল বেঁধে দিয়ে আসবেন, শহরের যদি গাছ না থাকে তাহলে যে বিল্ডিং এ পছন্দের মানুষ থাকে সেই বিল্ডিং এর যেকোনো স্হানে একটি কৌটায় চুল রেখে নিরাপদ ভাবে রেখে দিয়ে আসবেন।পরের দিন কাংখিত মানুযটি আপনার প্রতি দুর্বল হবে, আপনার জন্য ব্যকুল হবে,আপনার প্রতি বশীভূত হবে ও আপনার হুকুমে বাধ্যগত হবে।
বশিকরন তাবিজ
নিচের তাবিজটি মেসকো জাফরান দ্বারা ভুজপাত্রে লিখিয়া প্রেমিকার গৃহে পুতিয়া রাখিবে । অথবা প্রেমিকা চলাফিরার রাস্তায় পুতিয়া রাখিবে, প্রকাশ থেকে যে এই তাবিজ শনিবার ফজরের নামাজের পর লিখতে হবে ।
বিবাহিত মহিলাকে বশীকরণ করার সহজ উপায়
যদি কেউ কাহাকেও মহব্বত করিতে চায় তাহা হইলে নিচের নকশাটি লিখিয়া মাদুলিতে ভরিয়া ডান হাতের বাজুতে ব্যাবহার করিবে ইনশাআল্লাহ তায়ালা মহব্বত পাকাপোক্ত হইবে ।