বান মারা শিখতে চাই

বান মারা এক ধরনের সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার

 


বান মারা কি

বান মারা হচ্ছে একজন মানুষকে কালো যাদু বা কুফরি করে অসুস্থ করা বা মেরে ফেলা হচ্ছে বান মারা । যেকোন মানুষকে কালো যাদুর মাধ্যমে অসুস্থ করাকে বান মারা বলে ।


বানমারা কথাটি আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। গ্রাম শহরে এ নিয়ে অনেক কথা কাহিনী চলে আসছে। এগুলো সবই ভীতি ও রোমাঞ্চকর।

কারণ এ পদ্ধতিটি কেবল মানুষের ক্ষতি ও ক্ষয় করার উদ্দেশ্যেই প্রয়োগ করা হয়। মানুষকে বেকায়দায় ফেলার জন্য অসুবিধা সৃস্টির জন্য, ক্ষতি সাধনের জন্য বান মারার কৌশল ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। 
বান শব্দটি বাংলাদেশে খুব পরিচিত হলেও শব্দটি কিন্তু বাংলা নয়। এটি সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ হলো মন্ত্রের মাধ্যমে গড়া শর বা তীর। অর্থাৎ মন্ত্র পড়ে ক্ষতিকারক হিসেবে বানানো হয়েছে এমন তীর। 


মানুষকে বিদ্ধ করে ঘায়েল করার জন্যই সাধারনত তীর ব্যবহার করা হয়। বান মারা এখানে প্রতিকী অর্থে এসেছে। যেহেতু মানুষকে বিপন্ন করা বা বিপদগ্রস্থ করার জন্য কৌশলটির ব্যবহার, তাই বান মারা।

বান সম্পর্কে কিছু কথা

বান-মারা এই শব্দ সম্বন্ধে কমবেশি আমরা অনেকেই পরিচিত। এটি বস্তুত একটি তুকতাক প্রক্রিয়া। বান মারা এক ধরনের সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার, যাকে খারাপ উদ্দেশ্যে অন্যের ক্ষতি করার জন্য প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পৃথিবীতে এমন কোনও দেশ নেই যেখানে বান মারা চর্চা না হয়ে থাকে। হিন্দু ও বৌদ্ধরা বহু প্রাচীন কাল থেকেই এর সাহায্য নিয়ে আসছে। হিন্দু তন্ত্রসাধনায় মূলত এটি চর্চা হয়ে থাকে। যেহেতু মানুষকে বিপন্ন করা বা বিপদগ্রস্থ করার জন্য কৌশলটির ব্যবহার, তাই বান-মারা আমরা সমর্থন করিনা। শুধুমাত্র জানার জন্য এখানে কিছু বান-মারা মন্ত্র তুলে ধরা হয়েছে ।


বান মারা মন্ত্র ১

হক ইদ্রিছ পাক গনি,
কুলহু ইদ্রিছ ছোবাহানী।
আল্লাহু তোমার
জালালী নামে,
আজরাইলকে ডেকে আন।
আজরাইল যায় অমুকের 
বেটা অমুকের কাছে।
যেখানে থাকে
মৃত্যুর খ্যানা। 
আজরাইল দেয় অমুকের
বেটা অমুকের মরন,
বুক ফাটে বের হয় রক্ত।
দোহায় কালুবালা
দোহায় আজরাইল।
যদি মন্ত্র লড়ে চড়ে,
আজরাইল নরকে গিয়ে পড়ে।
কার আঙ্গে ইবলিশ 
শয়তান আজজীলের আঙ্গে।

বিধি: এই মন্ত্র একটি বান মারন মন্ত্র। এই মন্ত্রের দ্বারা যেকোনো শত্রুকে মাত্র ৪৮ ঘন্টায় মেরে ফেলা যায়।যদি শত্রুর শরীর বন্ধও থাকে এবং শত্রু যতই শক্তিশালী হোক না কেন। শত্রু মৃত্যু ১০০% হবেই।


বান মারা মন্ত্র ২

মন্ত্র-মন্ত্র মায়া মন্ত্র,
চারখানা বড় কিতাব
আসমানি গ্রন্থ।
ফলনার কন্যা ফলনার
অন্তর জ্বলে।
আসমানি গ্রন্থের টানে
অমুকের কন্যা, 
অমুক আমার 
এস্কে মহব্বত পড়ে।
বিল বিলাতি- অমুক 
আসমানি জাদুর খিলাদি,
যদি অমুক আমার 
বশিভূত না হয়।
দোহায় আজরাইল
আজাজিলের মাথা খায়।

বিধি: এই মন্ত্রর দ্বারা যেকোনো মেয়ে বা ছেলেকে মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যে বশ করা যায়।


বান মারা মন্ত্র ৩

“ওঁ নমো হাথ ফাউড়ী কাঁধে মারা,
ভ্যায়রু বীর মশানে খড়া।
লোহে কী ধনী বজ্র কা বান,
বেগলা মারে তো দেবী কালকা কী আল।
গুরু কী শক্তি মেরী ভক্তি,
ফুরো মন্ত্র ঈশ্বরী বাচা,
সত্যনাম আদেশ গুরু কা।।”

বিধিঃ তান্ত্রিক উপাচারে গ্রহন বা দীপান্বিতা আমাবস্যার দিন উপরোক্ত মন্ত্র 10,000 (দশ হাজার) বার জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধি হয়। এরপর, দীপান্বিতা রাত্রিতে চৌকী পেতে প্রদীপ জ্বালাবে, গুগুলের ধুনা দেবে, পরে কিছু মাষকালাই নিয়ে উক্ত মন্ত্রে 108 বার অভিমন্ত্রিত করে 108 বার প্রদীপের শিখায় ছুড়ে ছুড়ে মারবে। প্রথমে 108 বার মারবে পরে আবার 12 বার মারবে পরে একটি কাল কুকুরের রক্তে মাষকালাই ছড়িয়ে ছাইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে রাখবে। তা থেকে তিনটি মাষকালাই নিয়ে তার উপর মন্ত্র পড়ে শত্রুর দেহে নিক্ষেপ করলে সেই ব্যক্তির মৃত্যু অনিবার্য।


বান মারা মন্ত্র ৪

ওম মানি পদমে হাম

প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ঘেঁটে জানা গেছে এই মন্ত্রটি দিনে কম করে হাজার বার মনে মনে পাঠ করলে জীবনে কোনও দিন অশন্তির মেঘ দেখা যায় না। শুধু তাই নয়, মৃত্য়ুর সময় সেই ব্যক্তিকে যখন দাহ করা হয়,তখন চিতার ধোঁয়া এবং গন্ধ যারা যার কাছে পৌঁছায়, তার জীবনেরও সব পাপ ধুয়ে যায়। এবার বুঝতে পারছেন এই মন্ত্রটি কতটা শক্তিশালী। প্রসঙ্গত, এমনও বিশ্বাস আছে, এই মন্ত্রটি যিনি মন দিয়ে পঠ করবেন,তিনি জীবনে চলার পথে ভাল বন্ধু পাবেন, আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকবেন, খারাপ কিছু ঘটবে না, কেউ ঠকাতে পারবে না এবং মনের সব ইচ্ছা পূরণ হবে।


বান মারা মন্ত্র ৫

ওম গম গনপাতেয়া নামহ

এই মন্ত্রের অর্থ হল, আমি ভগবান গনেশের সামনে নত হয়ে প্রর্থনা করছি, আমার জীবনের সব বাঁধা এবং যন্ত্রণা যেন দূর হয়। বাস্তবিকই এই মন্ত্রটি পাঠ করলে সব ধরেনর বাঁধা একে-একে সরতে থাকে।তাই যখনই মনে হবে আপনি থমকে গেছেন। নানা কিছু আপনাকে জীবনের পথে এগতে দিচ্ছে না, তখন এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করবেন। দেখবেন ফল মিলতে দেরি লাগবে না। শুধু তাই নয় ,জীবনের লক্ষে পৌঁছাতে যখনই বাঁধার সম্মুখিন হবেন, তখনই ভগবান গনেশের এই মন্ত্রটি জপ করবেন। এমনটা করলে ফল যে পাবেনই, তা হলফ করে বলতে পারি।


বান বিদ্যা মন্ত্র

ওম নমঃ শিবায়

দেবাদিদেব হলেন জীবনের উৎস। তার শরণাপন্ন হওয়া মানে সমস্ত দুঃখের অবশান ঘটবে। জীবন হয়ে উঠবে অনন্দে আলোকময়। তাই তো প্রতিদিন শিবের এই মন্ত্রটি পাঠ করুন, দেখবেন জীবনের অর্থ খুঁজে পাবেন।সেই সঙ্গে মন শান্ত হবে, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমবে, আশান্তি দূর হবে এবং জীবনে আপনি যা চান তা পাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত হবে।


মানুষ মারা বান বিদ্যা

নিজের শত্রুকে অনায়াসে ধ্বংস করে দিন। কারণ শত্রু কখনো আপনার খারাপ ব্যতিত ভালো চাইবে না।

মন্ত্রঃ

কলিজায় হাত বুলাইয়া,
নাগদেবী অমকরে-
মারিলো পাতালী বান
থাকবে সে গোরস্তান;
পিঠে খাইলাম মুচে-
বুকে খাইলাম চুষে
নাগদেবীর বানে তার-
হৃদপৃন্ড যায় খসে।
বুকে দিলো চাপ
মুখে আসে রক্ত-
দুই বাহুর উপর;
করে বাসন্তী সক্ত,
চন্দ্র সূর্য নক্ষত্র গ্রহে-
বানেশ্বরীর পরে পা
বান তুই এক্ষণি;
অমকুরে ধইরা খা,
নৃযজ্ঞ কথার ষাটে-
বাক্য যদি না খাটে-
হাসান হুসাইনের
দুই মস্তক ফাটে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন