পাঁচশত বশিকরন সিদ্ধ বশীকরণ তন্ত্রের টোটকা

সিদ্ধ বশীকরণ তন্ত্রের টোটকা


কোন বিশেষ কাজে যাবার সময় নিজের পকেটে কাগজী লেবু নিয়ে তাতে চারটি ছোট লবঙ্গ ঢুকিয়ে দিতে হবে। এতে সফলতা নিশ্চিত হবে। 


শনিবার দিন স্নান-ধ্যান করে একটি অশ্বত্থ গাছের পাতা নিয়ে আসতে হবে। এতে গায়ত্রীমন্ত্রের একমালা লিখতে হবে। এবার এটিকে ফরাস, গদী বা ক্যাশ বাক্সের নিচে রাখতে হবে। এই অশ্বত্থ পাতাটি প্রতি শনিবার বদলে দিতে হবে। এতে ঘরে সুখ শাস্তি থাকবে এবং ব্যবসা বাড়বে।


শনিবার সকালে কাজে যাবার আগে একটি লেবু নিয়ে ওটিকে দু’ টুকরো করতে হবে। ঘর থেকে বেরোবার পর যে প্রথম মোড়টি আসবে তখন এক টুকরো আগে এবং একটুকরো পিছনে ফেলতে হবে এবং আগে এগিয়ে যেনে হবে। এই টোটকার ফলে সব কাজে সফলতার যোগ বেড়ে যাবে।


কোন বুধবার এক মুঠো ছোট মুগ নিতে হবে। এটি মাথা থেকে পা পর্যন্ত ছুইয়ে পাখিকে খাওয়াবার জন্য ছাদে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে মানসিক ঝামেলা দূর হবে। 


প্যাঁচার পিঠের চুল তুলে শত্রুর ঘরে ফেলতে পারলে বিজয় প্রাপ্ত হবেই।


জোয়ার ও ছোলার ছাতু মধুতে মিশিয়ে খাওয়ালে পিলিয়া রোগ দূর হয়। 


ছাগলের নাদি ৫০ গ্রাম, হলুদ ১৫ গ্রাম, সৈন্ধব লবণ ১৫ গ্রাম সবগুলির চূর্ণ বানিয়ে মধুর সাথে মিশিয়ে সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় খেলে জন্ডিস রোগ থেকে মুক্তি হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


দুই গ্রাম পীপল চূর্ণ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলেও নাকি জন্ডিস রোগ দূর হয়। 


কাকজঙ্ঘা, তগর, কেশর, মৈনসিল এই তিনটি ভাগে চূর্ণ করে শ্মশানের ছাই মিশিয়ে রবি পুষ্যযোগে কোন শনিবার কারও উপর ফেলতে পারলে সে বশীভূত হবে।


যদি পরিবারে সস্তান মারা যায় তবে স্ত্রী গর্ভবতী হবার পর দিন থেকে তার বাহুতে উজ্জ্বল লাল সুতো বাঁধতে হবে। বাচ্চা জন্মাবার পর ঐ ধাগাটি তার হাতে বেঁধে দিতে হবে এবং তার মায়ের হাতে উজ্জ্বল হলুদ রঙের ধাগা বেঁধে দিতে হবে। একে ‘রক্ষক ডোরা’ বলে। 


নিজের খাবার থেকে কিছু খাবার ভোজনের পর রেখে দিতে হয় এবং তা জন্তু জানোয়ারকে খাওয়াতে হয় এতে সুখ সমৃদ্ধি হয় এবং সংসারে শান্তি আসে।


আপনার বাড়িতে যতজন অতিথি আসে তাদের সংখ্যা গুণে নোট করে রাখুন। অতিথির যত সংখ্যা ততগুলি মিষ্টি রুটি জানোয়ারদের খাওয়ালে ঘরে রোগ, ঝগড়া ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


রাতে শোবার আগে নিজের পালংকের নিচে অল্প জল রাখতে হবে। সকালে ঐ জল বাইরে ঢেলে ফেলতে হবে। এতে বিনা কারণে ঝগড়া, বেইজ্জতী, ৮ রোগ, লাঞ্ছনা বা অন্য কোন কিছু খারাপ হবে না। ঘরের মঙ্গল হবে। 


পুরনো গুড় মাটির নিচে পুঁতে দিলে সস্তান সুখ প্রাপ্তি হয়। যদি সন্তানের কষ্ট হয় তবে উপরোক্ত উপায় করলে অনুকূল ফল পাবেন। যদি সস্তানের উপর কোন কুপ্রভাব পড়ে তবে সস্তানের সুখের জন্য ভিখারিদের গুড় বিলাতে হবে এবং বাচ্চার জন্মের পর মিষ্টির বদলে নিমকি বিলাতে হবে।


যদি আপনি অনুভব করেন যে সময়ের পূর্বে কোন স্ত্রী / পুরুষের চুল সাদা হয়ে যাচ্ছে, মানহানি, হওয়া কাজ হচ্ছে না, সুখের জায়গায় দুঃখ এবং নিরাশা দেখা যাচ্ছে তবে পরিবারের প্রত্যেকের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে তা গুরুধামে দান করলে সব অনিষ্ট নাশ হবে।


পতি-পত্নী উভয়েই মাসে এক-আধবার হলুদ বস্ত্র পরবে। তৃতীয় মাসে শ্রদ্ধাসহকারে হলুদবস্ত্র ও কিছু পয়সা দান করতে হবে। এছাড়া রোজই হলুদ বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট থাকবে। এর ফলে স্ত্রীর অবশ্যই গর্ভাধান হবে এবং পুত্ররত্ন প্রাপ্তি হবে।


যদি কোনও স্ত্রীর সস্তান সুখে বাধা আসছে এমন হয় তবে সে সবসময় সঙ্গে একটা চৌকোনো রূপার টুকরো রাখবেন। নাগপঞ্চমীর দিন ঐ টুকরো জঙ্গলের মধ্যে পুঁতে দিতে হবে। 


কেওড়ার শিকড় কানে ধারণ করলে শত্রুর ভয় দূর হয়।


হীরা বা ফিরোজা যে বা যারা ধারণ করে তাদের বিষধর জন্তুর ভয় থাকে না। 


অশ্লেষানক্ষত্রে ধামীর শিকড় হাতে ধারণ করলে সে ব্যক্তির সবরকম ভয় থেকে মুক্তি মেলে। 


সূর্যোদয়ের পূর্বে কোনও পুরুষ/স্ত্রী কোন চৌরাস্তায় গিয়ে দক্ষিণ দিকে মুখ করে ছোট গুড়ের টুকরো নিয়ে দাঁতে কেটে ঐখানেই ফেলে দিতে হবে। এর ফলে ভয়ংকর আধকপালী ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


উট কটীরার শিকড় নিয়ে জল দিয়ে পিষে নাভির উপর প্রলেপ দিলে সকল প্রকার ভয় দূর হয় এবং অবাঞ্ছিত গর্ভপাত হয়। রবি পুষ্যযোগে গুরুত্বের মালা ধারণ করলে কোন প্রকার সর্পদংশনের ভয় থাকে না।


যদি কোনও বিশেষ কাজে যেতে চাও তবে সকাল ৪টায় উঠে একটা রেশমী নীল রং-এর ধাগা নিজের ঘরের তৃতীয় থামে বাঁধতে হবে এবং বাঁধার সময় নিজের কামনা বলতে হবে। তবে নিশ্চয়ই সেই কামনা পূর্ণ হবে।


সাতটি গাট হলুদ এবং গুড়ের সাতটা ঢেলা বৃহস্পতিবার দিন হলুদ কাপড়ে বেঁধে রেললাইনে ফেললে সমস্ত রকম কামনা পূর্ণ হবে। ওটা ফেলার সময় নিজের কামনা অবশ্যই বলতে হবে। এই কাজটি কারও মুখ না দেখে চুপচাপ। করতে হবে এবং ফেরার সময় পিছন ফিরে তাকাবে না।


মাটির নতুন হাঁড়িতে সওয়া সাত কিলো ছোট মুগ অপর হাঁড়িতে সওয়া কিলো লবণ নিয়ে এই দুটো হাঁড়ি বুধবার দিন ঘরের কোন এক জায়গায় রাখতে হবে। এবার লক্ষ্মীকে আবাহন করে তার পূজা করে শুক্রবার বা বৃহস্পতিবার দিনে প্রসাদ বিতরণ করলে লক্ষ্মীর কৃপালাভ করা যায়।


পিটুলি গাছের ১০৯টি ফুল নিয়ে বিধিমত মালা করে তা সিংহের উপর সওয়ার মা দুর্গার গলায় পরিয়ে দিতে হবে। এবার হাত জোড় করে নিজের কামনা নিবেদন করতে হবে। এতে মা দুর্গার কৃপায় তা পূরণ হবে।


শনিবার সন্ধ্যায় অস্তমান সূর্যের পূজা করে কোনও কাজের জন্য নিমন্ত্রণ পাঠাতে হবে বা কোন প্রেমিকাকে বশ করার জন্য রবিবার সূর্যোদয়ের সময় প্রেমিকার নাম, মাতা-পিতার নাম ও নিজের নাম বলে সূর্যদেবকে বলতে হবে, “হে সূর্যদেবতা আমি আপনার কাছে কেবল এই কামনা পূর্তির জন্য বর চাইছি। আপনি অবশ্যই তা পূর্ণ করুন।” এই কথা বলে এক ঘটি জলে গুড় দিয়ে জল রাখতে হবে। পরবর্তী রবিবার পর্যন্ত এমন করে যেতে হবে। এর ফলে প্রেমিকা অবশ্যই বশীভূত হবে।


যদি ব্যবসা বা দোকানে কাজ কারবার মন্দা হয় ও আমদানী বন্ধ হয়ে যায় তবে এক চিমটি আটা ব্যবসার মুখ্য স্থান বা দোকানের প্রধান দরজার সামনে ফেলতে হবে এবং বলতে হবে এতে যার নজর পড়বে তার ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে। এই ক্রিয়া শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত লাগাতার করতে হবে। এটা করার সময় কেউ যেন না দেখে, এটা চুপচাপ করতে হবে। 


রবিবার দিন ব্রহ্মদণ্ডী, বচ, কূট এই সবের চূর্ণ যাকে পানে ভরে দেওয়া যাবে সে সদাই বশীভূত থাকবে।
বটের শিকড় জলে পিষে ভস্ম মিশিয়ে লাগিয়ে দিলে সবাই বশীভূত হবে। 


সহদেবীকে ছায়ায় শুকিয়ে জলের সাথে মিশিয়ে যাকে দেবে সেই বশীভূত হবে।


সর্ষে, দেবদালীর গুলি বানিয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তি মুখে রেখে যাকে সম্ভাষণ করবে সেই বশীভূত হবে।


হরতাল, মেনসিল, সৌফ কেশর এই সবগুলিকে পিষে অনামিকার দ্বারা তিলক কাটলে যে তা দেখবে সেই বশীভূত হবে।


গোরোচন, কাংগনী, লালচন্দন ও পদ্মপাতা একসাথে পিষে তিলক কেটে পরলে যে তা দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।


সাদা ঘুংঘচীকে কপিলা গাইয়ের দুধে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।


সাদা আকন্দ ছায়ায় শুকিয়ে কপিলা গাইয়ের দুধে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।


সাদা দুর্বা কপিলা গাইয়ের দুধে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।


বিজৌরা, লেবু, বেলপাতা, ছাগলের দুধে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে। 


ঘীক্বার-এর শিকড় ভাং-এর বীজের সাথে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।


হরতাল, অশ্বগন্ধা, সিন্দুর এই সবগুলিকে কলার রসে পিষে তিলক লাগালে বশীকরণ হয়।


রবিবার দিন কালো ধুতরার অভিমন্ত্রিত শিকড় বাহুতে বেঁধে দিলে ভূত-প্রেতের বাধা দূর হয়।


নীলকমল, গুগুল এবং অগরু এই তিনটি সমভাগে নিয়ে নিজের সারা অংগে ধূনী দিতে হবে। ফলে সাধককে দেখলে সকলে মোহিত হবে। 


কোনও রবিবার তুলসীর বীজ সহদেবী-এর রসে পিষে তিলক কাটলে স্ত্রী-জাতির লোক বশীভূত হয়।
ইন্দরোনী, চিনাবটরী ও মৈনসিল এই তিনটি সমভাগে নিয়ে হামানদিস্তা-তে কুটে নিজদেহে লাগালে যে দেখবে সে-ই মোহিত হবে।


পাঁচ প্রকার ফল দিয়ে তিলক কাটলেও সবলোেক মোহিত হবে।


কাকড়াসিঙ্গী, বচ, কূট ও চন্দন এইসবগুলি কুটে গুঁড়ো করে তা নিজ শরীর ও পোশাকে দিয়ে ধূপ দিলে যে দেখবে সে মোহিত হবে। 


পঞ্চমী তিথিতে হোহুয়ে গাছের শিকড় তুলে আনতে হবে। ঐটা চূর্ণ করে পানে দিয়ে যাকেই খাওয়াবে সে-ই কাছে চলে আসবে।


আশ্লেষা নক্ষত্রে দেবদারুর কাঠ এনে ছাগলের প্রস্রাবে ভিজিয়ে কুটে-পিষে শুকিয়ে নিতে হবে। যাকে আকর্ষণ করা দরকার তার মাথায় এর গুড়ো দিলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে।


বিট লবণ, ভোমরার দুটি পাখা, টগরের মূল, সাদা কৌয়া গোড়ী এই সবগুলির চূর্ণ বানিয়ে যে স্ত্রীর মাথায় দেবে সে-ই বশীভূত হবে।

 
বর্ষী হরতাল, অশ্বগন্ধা এবং কামিয়া সিন্দুরকে কলার রসে মিশিয়ে মাথার আগের দিকে তিলক লাগিয়ে দিলে সব লোক বশে আসে।


আপাং-এর বীজ ছাগলের দুধে মিলিয়ে তিলক কাটলে সবলোক বশীভূত হয়। 
দেশী পান ও শ্যামাতুলসীর পাতা কপিলা গাইয়ের দুধে মিশিয়ে মাথার সামনের দিকে তিলক লাগালে সবাই বশীভূত হয়।


মৈনসিল ও অশ্বগন্ধা আমলার রসে মিশিয়ে কপালে লেপলে সকলে বশীভূত হয়।


বেলপাতা এবং মাতুগল কালো ছাগলের দুধে মিশিয়ে তিলক কাটলে সর্বসাধারণ বশীভূত হয়। 


পানের রসে তালমখানা ও মৈনফল একসাথে পিষে মঙ্গলবার কপালে লাগালে স্ত্রী শীঘ্র বশীভূত হয়।


পদ্মপাতার উপর গোরোচন দিয়ে স্ত্রীর নাম লিখে গোরোচনের তিলক শনিবার লাগালে উক্ত স্ত্রী নিশ্চিতরূপে বশীভূত হবে।


কোনও রবিবার বা রবিপুষ্যযোগে ব্রহ্মদণ্ডী, বচ ও কূটের চূর্ণ মিশিয়ে পানে দিয়ে যাকে খাওয়াবে সে-ই প্রয়োগ কর্তার বশীভূত হবে।

 
কপিলা গাইয়ের দুধে আপাং-এর শিকড় রবিপুষ্যযোগে পিষে তিলক করে সাধক ইচ্ছামত ত্রিলোককেও বশীভূত করতে পারে। 


সহদেবী গাছকে তান্ত্রিকমতে তুলে এনে ছায়ায় শুকিয়ে পানে ভরে যাকে দেওয়া যাবে সে-ই বশীভূত হবে। 


কাকজঙ্ঘা, কেশর ও মৈনসিলকে সিদ্ধিযোগে যে স্ত্রীর মাথায় দেওয়া যাবে সেই প্রয়োগকর্তার বশীভূত হবে।


গোরোচন ও সহদেবী এই দুটি একত্রে পিষে তিলক কাটলে বশীকরণ হয়।


পূর্বফল্গুনী নক্ষত্রে বেদানা তুলে আনতে হবে। এবার তাতে ধূপ দিয়ে নিজের ডান বাহুতে বাঁধলে প্রত্যেকে বশীভূত হবে।


ছোট কালো বিউলী ডালে মেহেন্দী দিয়ে যে দিকে বর বা বধূর ঘর সেদিকে ফেলতে হবে। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর প্রেম প্রগাঢ় হবে। দুঃখ কষ্ট থাকবে না। এই প্রক্রিয়া যেখানে বিয়ে হয়েছে সেইখান থেকে করতে হবে। 


আর্দ্রা নক্ষত্রে নদীতে ডুব দিয়ে কিছুটা বালি তুলে আনতে হবে। ওটা যার মাথায় দেওয়া যাবে সেই বশীভূত হবে।


সাদা সর্ষে, তুলসী, ধুতরা, ওঙ্গা ও তিলের তেল সব একত্রে খুব মিহি করে পিষে যে স্ত্রী নিজের দেহে লেপে তার স্বামী বশীভূত হয়।

 
যে স্ত্রীকে বশ করার দরকার তার নাম পদ্মপাতায় গোরোচন দিয়ে শনিবার লিখে এবার তারই তিলক কাটলে উক্ত স্ত্রী বশীভূত হয়।


খস ও চন্দন নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে তিলক কেটে স্ত্রীর হাতে হাত মিলালে সে বশীভূত হবে।
চিতার ভস্ম, বচ, কূট, কেশর ও গোরোচন, এগুলি সমান ভাগে নিয়ে চূর্ণ করে যদি কোন স্ত্রীর মাথায় দেওয়া যায় তবে সে প্রয়োগকর্তার বশীভূত হবে। 


সর্ষে ও দেবদারু ছাল একসঙ্গে পিষে তাতে মধু মিশিয়ে গুলি বানাতে হবে। এটি মুখে রেখে যে নারীর সাথে কথা বলবেন সে-ই বশীভূত হবে।


গোরোচন ও নীলকমলের শিকড় তামার পাতে পিষে নিজের চোখে কাজলের মতো পরলে পতি সর্বক্ষণ উক্ত স্ত্রীর বশীভূত থাকবে। পরস্ত্রীর প্রতি লোভ করবে না। 


তিরিচ্ছের শিকড়, নীলকমলের শিকড় একসাথে পিষে “ওঁ পিঙ্গলায় নমঃ” ১১০০১ বার জপ করে অভিমন্ত্রিত করে পানের সাথে উক্ত শিকড় প্রেমিককে খাওয়ালে সে সবসময়ের জন্য আপনারই বশে থাকবে।


যদি কোনও স্ত্রী মনে করে যে তার পতি তার প্রতি নজর দিচ্ছে না এবং অন্য নারীতে আসক্ত তবে সে উক্ত পতিকে নিজ আয়ত্তে আনার জন্য চিতার ফল নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে ভাত বা পানের মধ্যে দিয়ে উক্ত পতিকে খাওয়াতে হবে। এরূপ করলে পরস্ত্রীর প্রতি তার মোহভঙ্গ হবে।


যখন কোন স্ত্রী তার প্রেমিককে বশ করতে চায় তখন মাছের পিত্ত ও গোরোচন পিষে তার তিলক ঐ পুরুষটিকে লাগিয়ে দিতে হবে এর ফলে সে ঐ মহিলার বশীভূত হবে। কোনও স্ত্রীও তার পতিকে ঐ তিলক লাগিয়ে দিতে পারে যে তার স্বামীকে বশ করতে চায়।


রবিবার দিন ব্রহ্মদণ্ডী, বচ, কূট এই সব চূর্ণ করে যাকে পানের মধ্যে দিয়ে খাওয়াবে সে সদাই আপনার বশীভূত থাকবে। 


বটের শিকড়ের সাথে জল দিয়ে পিষে তাতে ভস্ম মিলিয়ে তিলক লাগালে সবাই বশীভূত হয়। 


সহদেবীকে ছায়ায় শুকিয়ে রেখে তা পানে ভরে যাকে খাওয়াবে সে-ই বশীভূত হবে।


কাকড়াসিঙ্গী, চন্দন, বচ, কূট সব একসাথে মিলিয়ে কুটে নিতে হবে এবার তা নিজের শরীর ও কাপড়ে লাগিয়ে বিশেষরূপে ধূপ লাগিয়ে মূলইঠী পিষে তা দিয়ে তিলক লাগালে এর প্রয়োগের ফলে নর-নারী, রাজা, পশু-পক্ষী, সবাই বশীভূত হয়।


চিরচিরী, মরৈয়া, লাজবস্তী এবং সহদেবী একসাথে পিষে তিলক লাগালে সবাইকে মোহিত করা যায়। 
গুগগুল, অপরাজিতা এবং নীলকমল সমপরিমাণ নিয়ে সারা শরীরে মেখে ধূনী জ্বালাতে হবে। এবার রাজসভায় গেলে সবাই বশীভূত হবে।


নিজ দেহের ময়লা, শ্বেত অপরাজিতার শিকড়, মজীঠ মোঘা এবং বচ সমমাত্রায় নিয়ে পিষে তার টীকা লাগিয়ে প্রেমিকের কাছে গেলে সে তৎক্ষণাৎ বশীভূত হবে। 


গোরোচন, প্রিয়ংগু, পদ্মপাতা, লালচন্দন একত্র করে চোখে কাজলের মতো পরে প্রেমিকের কাছে গিয়ে দৃষ্টি বিনিময় করলে ঐ প্রেমিক তাকে ছেড়ে যাবে না। 


রেশমী কাপড়ের উপর তালীস, কূট, টগর-এর লেপন দিয়ে তা দিয়ে বাতি বানাতে হবে। এবার ওটাকে সর্ষে তেলের প্রদীপে জ্বালিয়ে তা দিয়ে কাজল বানাতে হবে। এবার ঐ কাজলের টিকা নিজ পতিকে লাগাতে হবে। এরূপ করলে উক্ত পতি চিরকাল ঐ স্ত্রীর ই থাকবে। এটি কোন স্ত্রীও লাগাতে পারে যাকে তার স্বামী বা প্রেমিক পাত্তা দিচ্ছে না। এই প্রয়োগের ফলে সে বা তারা উক্ত নারীর বশীভূত হবে।
মজীঠ, কুমকুম, উদমাস্ত-পাতা, টগর ইত্যাদি সমমাত্রায় নিয়ে তা পিষে নিতে হবে এবার তা দিয়ে টিকা লাগালে পতি সর্বদা বশীভূত থাকে।


কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে চৌদস-এর ব্রত পালন করে ছাগবলি দিয়ে সহদেবীর শিকড় চূর্ণ করে স্নানের জলে মিশিয়ে স্নান ও শরীরে মালিশ করলে পতি সদা বশে থাকে। যে স্ত্রী প্রেমিককে বশে রাখতে চায় সে-ও এইরূপ করলে তার প্রেমিকও তার অধীন থাকবে।


যখন চন্দ্রগ্রহণ লাগবে ঐ সময় শ্বেত বিষ্ণুক্রান্তার শিকড় তুলে এনে এবং তা ভালভাবে পিষে চোখে কাজলের মতো পরলে তার পতি সর্বদা বশীভূত থাকবে।


কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশীতে সাদা-চৌটলীর শিকড় এনে তা পিষে পানে ভরে যে পুরুষকে খাওয়াবে সে চিরকালের জন্য প্রয়োগকর্তার বশীভূত থাকবে।


গোরোচন ও মৈনসিল পানের জলের সাথে মিশিয়ে তার টিপ কপালে পরলে পতি সদা বশীভূত থাকবে৷
সাদা চন্দন, মাছের পিত্ত এই দুটি একসাথে মিশিয়ে বা হাতের কড়ে আঙুল দিয়ে যে স্ত্রীকে তার ছিটা লাগাবে সে প্রয়োগকর্তার জন্য ব্যাকুল হবে।


চিতার ভস্ম, কুট, বচ, কেশর ও গোরোচন চূর্ণ যে স্ত্রীর মাথায় দেবে সে-ই বশীভূত হবে।


পুষ্যনক্ষত্রে ধোপার পায়ের মাটি এনে রবিবার দিন সন্ধ্যার সময় তার থেকে কিছুটা স্ত্রীর মাথায় দিলে সে বশীভূত হবে।


আর্দ্রা নক্ষত্রে পুকুরে গিয়ে এক ডুব দিয়ে নিচ থেকে মাটি তুলে আনতে হবে। ঐ মাটি যে স্ত্রীলোকের মাথায় দেবে সে-ই বশীভূত হবে। 


সহদেবীর রসে তুলসীবীজ চূর্ণ করে মিশিয়ে রবিবার দিন কপালে তিলক কাটলে উক্ত সাধক জগতকে মোহিত করবে।


কলার রসের সাথে বরকী, হরতাল এবং অশ্বগন্ধা ও গোরোচন একসাথে পিষে তিলক লাগালে সর্বজন মোহিত হবে।


কাকড়াসিংঘী, চন্দন, বচ, কুট এই চারটি মিশিয়ে তিলক কাটলে সবাই মোহিত হবে।
আমের শিকড় পিষে তার তিলক লাগালে জগৎ মোহিত হবে। 


সিন্দুর, সাদা বচকে পানের রসে পিষে তিলক লাগালে সব লোক বশীভূত হবে।


আপাং, ভৃঙ্গরাজ, লাজবস্তী, সহদেবী এইসবগুলি সমপরিমাণ নিয়ে পিষে তিলক লাগালে সবাই মোহিত হবে।


সাদা দুর্বা ও বরকী হরতাল পিষে তিলক কাটলে জগৎ মোহিত হবে।


শিলাজিত, গোরোচন, কেশর এবং ঘি ইত্যাদি মিশিয়ে চোখে কাজল লাগিয়ে প্রেমিকের কাছে গেলে সে বশীভূত হবে।


ভ্রমরের পাখা, কাকজংঘা, দুর্বা, কুট, কমল, তগড়ের শিকড় এই সবগুলি মিশ্রণ বানিয়ে সেই স্ত্রীলোক, যে তার প্রেমিকের দ্বারা প্রতারিত, অহেলিত হচ্ছে যদি তার প্রেমিকের দেহে উক্ত মিশ্রণ লাগিয়ে দিতে পারে স্তব উক্ত প্রেমিক স্ত্রীলোকের বশীভূত হয়ে থাকবে। 


শতাবরী, গোরোচন, গেরু, পদ্মকেসর-এর মিশ্রণ দিয়ে কাজল তৈরি র পুষ্য নক্ষত্রে ঐ কাজল পরলে প্রেমিক এবং পতি উভয়েই বশীভূত হবে।


গোরোচন এবং তাড়ের বীজকে যে কোনও বশীকরণ মন্ত্রে অভিমন্ত্রিত করে যার মাথায় দেবে সেই বশীভূত হবে। 


বিশাখানক্ষত্রে প্রাপ্ত মহুয়া কুঁড়ি শক্তি বৃদ্ধি করে।


যদি কোনও ব্যক্তি করবী ফুল নিজের ডান বাহুতে অনুরাধানক্ষত্রে অভিমন্ত্রিত করে বেঁধে নেয় তাহলে তার শত্রুরা শাস্ত হবে। এই নক্ষত্রেই রোহিত গাছের কুঁড়ি মুখে ধারণ করলে সে অদৃশ্য হয়ে যাবে।


যদি থুহরের কুঁড়ি ধারণ করা যায় তো সাধকের বাকসিদ্ধি প্রাপ্ত হয়। আর কপিত্থ গাছের কুঁড়ি মুখে রাখলে শস্ত্র স্তম্ভন করা যায়। 


বেলগাছের কুঁড়ি অশ্বিনী নক্ষত্রের আগে নিমন্ত্রণ দ্বারা নিয়ে এসে যদি হাতে বাঁধা যায় তো বিদ্যায় সিদ্ধি হয়।


কপালের কুঁড়ি ভরণীনক্ষত্রে ধারণ করলে সাধকের সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়।


নীলোফর, ভ্রমরের পাখা, পোখরমূল, টগর, শ্বেত বোটলী, এইসবগুলির চূর্ণ যাকে ছোঁয়াবে সেই বশীভূত হবে।


যুবতীর মাথার চুল নিয়ে কালীমন্ত্র ১০৮ বার জপ করে নিজের চুলের সাথে তা জ্বালিয়ে দিলে উক্ত নারী বশ হবে।


যুবতীর মাথার চুল নিয়ে তা গাধার মলের সাথে মিশিয়ে মাটিতে পুঁতে প্রতিদিন সেখানে মূত্রত্যাগ করলে উক্ত যুবতী বশীভূত হবে।

 
ঐ যুবতীর ঘরের পোষা কুকুরকে নিজের মূত্র দিয়ে আটা মাখিয়ে তার রুটি তৈরি করে ২১ দিন ধরে রোজ খাওয়ালে ঐ যুবতী বশ মানবে।


ঐ যুবতীর ঘরের সংলগ্ন কোনও ভাল গাছের শিকড়ের পাতলা সুতো বের। করে তা উদুখলে প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে ২১ দিন পিষে তাতে অল্প গব্যঘৃত দিয়ে দিতে হবে। এতে কুমকুম, গোরোচন, সহদেবীর শিকড় দিতে হবে। সহদেবীর শিকড় প্রথমেই দিতে হবে। গোরোচন ইত্যাদি পরে দিতে হবে। এই মিশ্রণটি কোন কৌটায় (টিনের) বন্ধ করে রেখে তার তিলক কেটে রাতে ২১ বার মোহিনীমন্ত্র জপ করে শুতে হবে। সাতদিনেই ঐ যুবতী বশীভূত হবে।


মৌরী এবং এলাচের দানা নিজের শিয়রের নিচে রাখতে হবে। সাতদিন বাদে তার সরবত বানিয়ে কোনও যুবতীকে খাওয়ালে সে বশীভূত হবে। 


ভোজপত্রের উপর লালচন্দন দিয়ে শত্রুর নাম লিখে তা মধুতে ডুবিয়ে রাখলে শত্রু বশীভূত হবে।
কালো ভ্রমরের পাখা লবঙ্গের সাথে মিশিয়ে পিষে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে তা কোন স্ত্রীর মাথায় দিলে সেই মহিলা অবশ্যই বশীভূত হবে।


সিন্দুর, কুমকুম, গোরোচন এই তিনটি জিনিস আমলার রসে মিশিয়ে তিলক কাটলে সমগ্র সংসার বশীভূত হবে।


তুলসীর বীজ সহদেবীর রসে মিশিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে এবং রবিবার এর তিলক লাগালে সংসার মোহিত হবে।


মৈনসিল ও কর্পূর পিষে কলার রসে মিশিয়ে তিলক লাগালে সাধক সবাইকে মোহিত করবে। এটি রাবণের দ্বারা কৃত বশীকরণ যোগ।


হরতাল, অশ্বগন্ধাকে কলার রসে পিষে গোরোচন মিশিয়ে তিলক লাগালে তীব্র বশীকরণ যোগ হয়।
বেলপাতা ছায়ায় শুকিয়ে নিতে হবে। এবার তা কপিলার দুধে পিষে গুলি বানাতে হবে। যাকে বশ করার দরকার তার নামে সাতবার অভিমন্ত্রিত করে খাওয়ালে কার্য সিদ্ধি হবে।


মঙ্গলবার দিন অমাবস্যায় পবিত্রতাপূর্বক স্নান-পূজা ইত্যাদি করে বনে যেতে হবে এবং সেখানে উত্তর দিকে মুখ করে আপাং গাছ দেখতে হবে, এবার সেখানে ব্রাহ্মণকে ডেকে যথাবিধি উক্ত গাছকে পূজা করবে। আপাং গাছের বীজ এনে তার ভূষি বার করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার ভগবান শঙ্করের ধ্যান করে কোনও ভাবে রাজা বা অধিকারীকে তা খাওয়াতে পারলে রাজা উক্ত সাধকের আজীবন বশীভূত থাকবে। এই ক্রিয়াটা পুষ্য নক্ষত্রে করলে খুবই প্রভাবশালী হবে।


লালচন্দন দিয়ে অখণ্ডিত ভোজপত্রের উপর শত্রুর নাম লিখে তা শুদ্ধ মধুতে ডুবিয়ে দিলে শত্রু বশ হয়।
সাদা অপরাজিতার শিকড় ছায়ায় শুকিয়ে কপিলা গাইয়ের দুধে পিষে তিলক কাটলে তা যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে। 


সাদা গরুর কপিলা গাইয়ের দুধে মিশিয়ে শরীরে তা লেপলে সকলেই বশীভূত হবে।


সাদা অপরাজিতা নিয়ে ছায়ায় শুকিয়ে কপিলা গাইয়ের দুধে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।


বিজৌরা, লেবু, বেলপাতা, ছাগলের দুধ সব একসাথে পিষে তিলক লাগালে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।


ঘীক্কারের শিকড়, ভাং-এর বীজের সাথে পিষে তিলক লাগালে বশীকরণ হবে।


হরতাল, অশ্বগন্ধা, সিন্দুর এইগুলি কলার রসে পিষে তিলক লাগালে বশীকরণ হবে।


রবিবার কালো ধুতরার ফুল, পাতা, শিকড় ও বেলপাতা একসাথে পিষে তিলক লাগালে বশীকরণ হবে।
কেশর, গোরোচনের তিলক বানিয়ে মাথায় লাগালে সাক্ষাৎ অরুন্ধতী সমান পতিব্রতা স্ত্রী ও বশীভূত হবে। এটি সবচেয়ে তীব্র বশীকরণযোগ এবং কোনও তন্ত্রমন্ত্র জপ ছাড়াই এটি সিদ্ধ হবে।


টগর, কুমকুম, মৈনসিল, কৌক্ষাগোড়ী এইসবগুলি একসাথে পিষে চূর্ণ করতে হবে এটি যে কামিনীর মাথায় দেবে সে নিশ্চয়ই বশীভূত হবে।


হাত-পায়ের নখ কেটে ভস্ম করে তা পানে দিয়ে যাকে খাওয়াবে সে-ই বশীভূত হবে। 


সর্ষে ও দেবদালীর গোলা বানিয়ে মুখে রাখলে প্রেমিক বশ হবে।


প্রেমিককে বশ করার জন্য ভৃংগরাজের শিকড় মুখে রেখে যার কাছে যাওয়া যাবে সে-ই উক্ত স্ত্রীর আজীবন বশে থাকবে।


গোরোচন, গোখরুর শিকড়, ভৃংগরাজ, বিষ্ণুক্রাস্তা এই সবগুলো একসাথে পিষে ডিবায় বন্ধ করে রাখতে হবে। এবার টিপ লাগানোর জায়গায় এরই টিপ লাগাতে হবে। এরূপ করলে পতি কখনো পরস্ত্রীর দিকে যাবে না। 


সাদা অপরজিতার শিকড়, ভেড়ার মূত্র একসাথে নিয়ে পুষ্য নক্ষত্র যোগে তা একসাথে পিষে সুরক্ষিত জায়গায় বন্ধ করে রাখতে হবে। কখনও কখনও তার টিপও লাগাবে। এর ফলে পতি চিরকাল আপনারই থাকবে।


পুষ্য নক্ষত্রে মন্দারের শিকড় ভেড়ার রক্তের সাথে মিশিয়ে পিষে তা কাজলের মতো চোখে পরতে হবে এবং প্রেমিকের কাছে গিয়ে প্রেম নিবেদন করলে সে সদাসর্বদা প্রেমিকার বশে থাকবে।


কৃষ্ণক্রাস্তার শিকড় পুষ্য নক্ষত্রে নিয়ে এসে তার চূর্ণ করে গাওয়া ঘিতে মিশিয়ে তার কাজল বানাতে হবে। এই কাজল পরলে পতি সর্বদা তার স্ত্রীর বশে থাকবে।


সাদা গুড় এবং শ্বেতবিষ্ণুক্রাস্তার শিকড় একসাথে পিষে তার টিকা লাগালে প্রেমিকা বশীকরণ হবে।
গোরোচন আশ্রয় করে বেড়ে ওঠা গাছের কোমল পাতা পিষে টিপের স্থানে টিকা লাগালে উক্ত স্ত্রীর স্বামী সর্বদা বশে থাকে।


ফৈনসিল, দেশি কর্পূর কলার রসে পিষে তিলক লাগালে জগৎ মোহিত হবে।
গুলর ফুলের পলতে বানিয়ে রাতে সাদা মাখন দিয়ে জ্বালাতে হবে এবং তার কাজল বানিয়ে তিলক লাগালে জগৎ মোহিত হবে।


সাদা ঘুংঘচীর রসে ব্রহ্মদণ্ডীর শিকড় পিষে শরীরে লেপলে সবাই মোহিত হবে।


তুলসীর পাতা ছায়ায় শুকিয়ে তাতে অশ্বগন্ধা ও ভাং-এর বীজ মিশিয়ে কপিলা গাইয়ের দুধের সাথে চার মাশের গুলি বানিয়ে ও তার তিলক লাগালে সারা বিশ্ব মোহিত হবে। 


বেদানার ফল, ফুল, পাতা, বীজ, ইত্যাদি পঞ্চাংগকে ঘুংঘচীর সাথে মিশিয়ে তিলক লাগালে জগৎ মোহিত হবে।


বটের শিকড় জলে মিশিয়ে পিষে তিলক কাটলে সবলোক বশীভূত হবে।


কপিলা গাইয়ের দুধের সাথে আপাং-এর বীজ পিষে মাথায় তিলক কাটলে সর্বলোক বশ হবে।


সহদেবীকে ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে তা চূর্ণ করে পানে মিশিয়ে যাকে খাওয়াবে সেই বশীভূত হবে।


সহদেবী ও গোরোচন একসাথে পিষে তিলক কাটলে সবাই বশীভূত হয়। 


পানে ডুমুরের শিকড় রেখে যাকে খাওয়াবে সেই বশীভূত হবে।


যে নিজের মাথায় গুলরের শিকড় পিষে তিলক লাগায় সে সবার প্রিয় হয়।


সর্ষে ও দেবদাল একত্রিত করে গুলি বানিয়ে নিজের মুখে রেখে কথাবার্তা বললে দ্বিতীয় ব্যক্তি বশীভূত হবে।


চায়ের পাতায় নিজের ঘাম ছিটিয়ে মিশিয়ে ছায়ায় শুকিয়ে সেই চা যুবতীকে খাওয়ালে সে বশীভূত হবে। শর্ত এই যে উক্ত ঘাম ছিটানোর সময় যুবতীটিকে পাবার কামনা যেন তীব্র থাকে।


রূপার ঘুঙুরকে ২১ দিন ধরে নিজের মূত্রে শিশি বা মাটির পাত্রে ডুবিয়ে রাখতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঐ মূত্র বদলে নিতে হবে। এবার ঐ ঘুঙুরটি ছাই দিয়ে মেজে কোনও যুবতীকে দিতে হবে। যদি সে তা নিজের পায়ে পরে তবে মাত্র তিনদিনেই সে আপনার বশীভূত হবে।



দোনো কটেলী, অরজুবেল এবং গোখরুর শিকড় সমান মাত্রায় নিয়ে তাতে নিজের প্রথমবার স্নান করা জলের চারগুণ নিতে হবে। এবার এটি মাটির বড় পাত্রে লাল কাপড়ে ঢেকে ধিমি আঁচে গরম করতে হবে। যখন এক চতুর্থাংশ জল থাকবে তখন তা নিয়ে বোতলে ভরতে হবে। এটি একটি শোধক ঔষধ। এর থেকে তিন চামচ নিয়ে যদি কোনও যুবতীকে খাওয়ানো যায় সে বশ হবে।

ঢাকের বীজ নিয়ে তা লাল কাপড়ে বেঁধে আপনার স্নানের জলে ডুবিয়ে ২৪ ঘণ্টা রাখতে হবে। এবার এটা পিষে তাতে মধু বা মিঠাই দিয়ে কোনও যুবতীকে খাওয়ালে সে বশীভূত হবে।

তুলসীর চারার শিকড় নিয়ে তাতে কেশর, গোরোচন, আখের ছাই, নিজের মাথার চুল পোড়ানো ছাই এবং লবঙ্গ নিয়ে ২১ দিন বাদে এটা চরণামৃত বা মিঠাই-এর সঙ্গে মিশিয়ে কোনও অবিবাহিতা যুবতীকে খাওয়ালে সে বশীভূত হবে।

চৌলাই এর বীজকে রাতে পানে মুড়ে নিজের মুখে রাখতে হবে। সকালে এটি পুঁতে দিতে হবে। একে চৌলাইয়ের শাক ঘি ও ভাতের সাথে যে অবিবাহিতা যুবতীকে খাওয়াবে সে-ই বশ হবে।

সাদা দুর্বা এবং হরতাল পুষ্য নক্ষত্রে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে আসতে হবে এবং ধূপ দীপ দেখিয়ে তা পিষে নিয়ে তার তিলক লাগালে সমস্ত জগৎ মোহিত হবে।

তুলসীর বীজ নিয়ে সহদেবীর রসে পিষে তিলক কাটলে তা দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।

কেশর, সিন্দুর ও গোরোচনকে আমলার রসে পিষে তিলক লাগালে যে তা দেখবে সে-ই বশীভূত হবে। 

আপাং, ধানের তুষ ও সহদেবী এইসব একসাথে পিষে তার তিলক কাটলে ত্রিলোক বশীভূত হবে।

কর্পূর ও মৈনসিল নিয়ে কলার রসে পিষে মন্ত্রাভিষিক্ত করে তিলক লাগালে সাধককে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে। 

বেলপাতা নিয়ে ছায়ায় শুকিয়ে তাতে কপিলা গাইয়ের দুধ মিশিয়ে গুলি বানিয়ে তা দিয়ে তিলক কেটে সাধক যার কাছে যাবে সে সর্বান্তকরণে সাধকের বশ মানবে।

সাদা মাদার ফল ছায়ায় শুকিয়ে কপিলা গাইয়ের দুধ মিশিয়ে পিষে তা দিয়ে তিলক কাটলে সবাই বশীভূত হবে।

সাদা দুর্বা কপিলা গাইয়ের দুধে পিষে শরীরে লেপে পথে চললে যে দেখবে সে-ই বশীভূত হবে।

বেলের পাতা, বিজৌরা লেবুকে দুধে পিষে তিলক লাগালে সর্বসাধারণ বশীভূত হবে।


ঘীগ্বারের শিকড় ও ভাংগের বীজ একটি পাত্রে পিষে ও মিশিয়ে যে কেউ তার তিলক কাটলে সকলেই বশীভূত হবে।

কেশর, সোঠ, কূট, হরতাল ও মৈনসিলের চূর্ণ করে নিজের আঙুলের রক্ত মিশিয়ে তিলক কাটলে সবাই মোহিত হবে।

গোরোচন, পদ্মপাতা, কাংগনী ও লাল চন্দন পিষে তিলক লাগালে স্ত্রী-পুরুষ ৮ বশ হবে।

অমাবস্যার রাতে এই প্রয়োগ করতে হবে। একটা মাটির কাঁচা হাড়িতে সুজির হালুয়া রেখে তার মধ্যে ছোট এক টুকরো হলুদ, সাতটা লবঙ্গ ও সাতটা না গোলমরিচ রেখে ঐ হাড়ির মুখ লাল কাপড়ে বেঁধে ঘর থেকে দূরে কোথাও  গিয়ে ওটা মাটিতে পুঁতে রেখে ঘরে এসে হাত পা ধুয়ে নিলে প্রবল বশীকরণ হয়।

শনিবার দিন সিন্দুর রঙের কোনও প্রতিমা পূজা করে মূর্তিতে সিন্দুর লাগিয়ে ৩১ দিন ধরে ত্রাটক করতে হবে ও কার্য সিদ্ধি হবার প্রার্থনা জানাতে হবে। ১৮ এবার কোনও চৌরাস্তা থেকে ধুলো এনে আজ্ঞাচক্রে টিকা লাগিয়ে বাঞ্ছিত ব্যক্তির কাছে গেলে সে অবশ্যই বশীভূত হবে।

কোনও শুভদিনে কালো হলুদ আনতে হবে। গঙ্গাজলে ভেজা কাপড় দিয়ে নারী মুছে তা রূপার কৌটায় রেখে লোবানের ধূনী জ্বেলে শুদ্ধ করে পরিষ্কার কাপড়ে জড়িয়ে রাখতে হবে। এর থেকে একটা ছোট টুকরো কেটে তা ধাগার সাথে রোগীর গলায় বাঁধতে হবে। এতে মৃগী, পাগলামো, ভ্রান্তি, অনিদ্রা ইত্যাদি মানসিক রোগ দূর হবে।

গুরু পুষ্য যোগে কালো হলুদকে কামিয়াসিন্দুর ও গুগগুলের ধূপ দিয়ে লাল কাপড়ে মুড়ে কিছু পয়সা একটা বাক্সে রেখে দিতে হবে। এর প্রভাবে ধন বৃদ্ধি হবে।



শনিবার ধনিষ্ঠা নক্ষত্রের সময় বাবলার শিকড় এনে তা চূর্ণ করতে হবে। এটা কাপড়ে ছেঁকে নিতে হবে। চূর্ণটিকে সিদ্ধ করে নিয়ে মাথায় ছড়ালে উক্ত ব্যক্তি বশীভূত হবে।

যদি কোনও নজর লেগে থাকে তবে ঘরের পাশের গাছের শিকড় নিয়ে সন্ধ্যাবেলা অল্প কাঁচা দুধ ঢেলে গোলাপের আগরবাতি জ্বেলে রাখতে হবে। এর ফলে এই বাধা দূর হবে।

বর্তমান যুগে মনকষাকষি হওয়া সাধারণ ব্যাপার। এটা নিবারণের জন্য সাতটি গোমতীচক্র, সাতটি ছোট নারকেল ও সাতটি মোতীশঙ্খ ও হলুদ বস্ত্র নিতে হবে। এবার হোলিকা দহনের পূর্বে ঐসব সামগ্রী স্বামীর দেহে ছুইয়ে রাখতে হবে। এবার জ্বলন্ত হোলিকাতে তা ফেলে মনে মনে প্রার্থনা করতে হবে যে মনকষাকষি যেন দূর হয়। এবার পিছনে না তাকিয়ে ঘরে ফিরে আসতে হবে।

যে ব্যক্তির নজর লেগেছে তাকে পানে সাতটি লাল গোলাপের পাঁপড়ি ভরে খাওয়ালে কুনজরের প্রভাব দূর হবে। গুলকন্দ খাওয়ালেও কাজ হবে।

খেঁজুর গাছের শিকড় মূলা নক্ষত্রে মন্ত্রোচ্চারণ করে সিদ্ধ করে ডান বাহুতে ধারণ করলে সাধক নিজ শত্রুর উপর বিজয় প্রাপ্ত করবে। ডান বাহুতে পূর্বা গাছের শিকড় পূর্বষাঢ়া নক্ষত্রে সিদ্ধ করলে বাধা দূর হয় ও প্রত্যেক কার্যে সফলতা আসে।

ঋতুবর্তী হবার পর পবিত্র হয়ে পলাশ গাছের পাতা একত্রিত করে তা কোনও হিজাট। গর্ভিনীর স্তনদুধে পিষে সারাদিন প্রসন্ন থেকে ও শোক-চিন্তা না করে পান করে অষ্টম দিনে পতির সাথে মিলন করলে ওই স্ত্রী পুত্রবতী হবে।

সুপারি গাছে উৎপন্ন পরগাছাকে শতভিষা নক্ষত্রে মন্ত্র দ্বারা সিদ্ধ করে পিষে গরুর দুধের সাথে খেলে যৌবন ধরে রাখা যায়।

রাতে শোবার সময় যে কেউ মুনিরাজ আস্তিকের নাম জশ করে নমস্কার করলে তার সাপের ভয় থাকে না। মহুয়ার শিকড় বিশাখা নক্ষত্রে সিদ্ধ করলে এটা সাধনায় বৃদ্ধি ঘটায়।

যদি কোনও ব্যক্তি করবীর শিকড় অনুরাধা নক্ষত্রে অভিমন্ত্রিত করে নিজের ডান বাহুতে বেঁধে নেয়, তবে তার শত্রু বশ থাকবে।


বেলগাছের শিকড় অশ্বিনী নক্ষত্রের আগে নিমন্ত্রণ দ্বারা বিধিমত নিয়ে এসে মন্ত্রের দ্বারা অভিমন্ত্রিত করে যদি বাহুতে বাধা যায় তবে লুপ্তবিদ্যাও সিদ্ধ হবে।

কার্পাস গাছের শিকড় ভরণী নক্ষত্রে ধারণ করলে সাধক নাকি অদৃশ্য হবার শক্তি পায়।

শঙ্খপুষ্পীর শিকড় ঠাণ্ডা জলে পিষে ষোলমাশা পরিমাণ যে স্ত্রী সাতদিন ধরে পান করবে ও অষ্টমদিনে পতির সাথে সহবাস করবে সেই স্ত্রী গর্ভবর্তী হবে। 

মন্ত্রের দ্বারা থুহর-এর শিকড় সিদ্ধ করে ধারণ করলে সাধকের বাকসিদ্ধি প্রাপ্তি হয় এবং তার কথাবার্তায় প্রভাব ফেলে।

সাদা ঘুংঘচী ছায়ায় শুকিয়ে কপিলা গাইয়ের দুধে পিষে তিলক লাগালে সব লোক বশীভূত হয়। অন্য কিছু মন্ত্র এবং প্রয়োগও শাস্তিকার্যে লাগে। এই মন্ত্র হোলি, দীপাবলী, গ্রহণ ইত্যাদি বিশিষ্ট যোগের রবিবার, মঙ্গলবার সিদ্ধ করে এতে শক্তি সঞ্চার করতে হয়। এটি অব্যর্থ প্রয়োগ।

৭টি ছোট হলুদ টুকরো, পিতলের টুকরো, অল্প গুড় নিয়ে যদি কন্যা তার শ্বশুরবাড়ির দিকে ফেলে দেয় তবে উক্ত কন্যা শ্বশুরবাড়িতে সদা সুরক্ষাপূর্বক ও সুখে থাকে।

মেয়ের বিবাহের পর বিদায় হবার সময় একটা লোটায় গঙ্গাজল নিয়ে তাতে অল্প হলুদ মিশিয়ে ও একটা সিকি তাতে ফেলে তা কন্যার দেহে ছুইয়ে যদি তার গমনপথের আগে ফেলা যা তবে তার বৈবাহিক জীবন সুখের হয়।

চকমকে হলুদ সুতোর রিল, হলুদ কাগজ, টুকরো হলুদ, পিতলের টুকরা সব একসাথে মিলিয়ে ঘরের মালিক যদি তা কুয়ায় ফেলে দেয় তবে ঘর থেকে নিখোঁজ ব্যক্তি ঘরে ফিরে আসে।

হাতির বিষ্ঠাকে রূপার তাবিজে ভরে ঐ তাবিজ যে বাচ্চার গলায় পরানো যাবে সে দুষ্ট বাতাস থেকে রক্ষা পাবে।

হরিণের বাঁ চোখকে তাবিজে ভরে কালো সুতো দিয়ে নিজের ডান বাহুতে বেঁধে যে স্ত্রীর কাছে যাবে সে পুরোপুরি মোহিত হবে।

সিন্দুর, কুমকুম, গোরোচন এই তিনটি জিনিস আমলার রসে মিশিয়ে তিলক কাটলে সংসার মোহিত হবে।


তুলসীর বীজ সহদেবীর রসে মিশিয়ে সিদ্ধ করে রবিবার দিন যে ব্যক্তি এর তিলক কাটবে সে সংসারকে মোহিত করবে। 

মৈনসিল, কর্পূরকে পিষে কলার রসে মিশিয়ে তিলক লাগালে সে ব্যক্তি সারা সংসারকে মোহিত করতে পারে। এটি রাবণকৃত বশীকরণ যোগ।

হরতাল, অশ্বগন্ধাকে কলার রসে সিক্ত করে পিষে গোরোচন মিশিয়ে তিলক কাটলে তীব্র বশীকরণ যোগ হয়।

কাকরাসিংগী, চন্দন, বচ, কুট সবগুলি মিশিয়ে চূর্ণ করতে হবে। এবার তা নিজ দেহে ও কাপড়ে লাগিয়ে বিশেষ রূপে ধূপ জ্বালিয়ে এবং মূলহঠী পিষে তার তিলক কাটলে, এর প্রভাবে নর-নারী, রাজা, পশু পক্ষী সবাই বশীভূত হবে।

চিরচিরী, মরৈয়া, লাজবন্তী, সহদেবী পিষে তিলক কাটলে সবাইকে মোহিত করা যায়।

বেলপাতা ছায়ায় শুকিয়ে এবং কপিলার দুধে পিষে গুলি বানাতে হবে। যাকে বশকরা দরকার তার নামে ৭ বার অভিমন্ত্রিত করে কপালে লাগালে কার্যসিদ্ধি হবে।

গুগগুল, আগ এবং সমপরিমাণ নীলপদ্ম নিতে হবে। এটিকে ধূনি দিয়ে  রাজসভায় গেলে সবাই মোহিত হবে।

হস্তানক্ষত্রে চাপার শিকড় এনে গলায় ধারণ করলে ভূত-প্রেত বাধা দূর হয়। 


স্বাতীনক্ষত্রে মোগরার শিকড় নিয়ে মহিষের দুধে পিষে পান করলে রং উজ্জ্বল অর্থাৎ ফর্সা হয়।

অনুরাধা নক্ষত্রে চামেলির শিকড় এনে মাথার তলায় রেখে দিলে শত্রু মিত্র হয়।

জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে জামগাছের শিকড় কাছে রাখলে রাজ সম্মান পাওয়া যায়।

শ্রবণা নক্ষত্রে আমলার শিকড় নাগরবেলের রসে রেখে পান করলে স্ত্রী নবযৌবনা হয়।

মৈনসিল, সিংগরফ, গোরোচনকে ভৃংগরাজের রসে পিষে যাকে বশ করতে চান তার নাম লিখে আগুনে গরম করলে সে বশীভূত হয়।

তুলসী বীজ চূর্ণ, সহদেবীর শিকড়ের রসে মিশিয়ে রবিবার দিন পিষে তিলক করলে বশীকরণ হয়।

হরিবাস, অশ্বগন্ধাকে কলার রসে নিয়ে গোরোচনের সঙ্গে পিষে তিলক কাটলেও বশীকরণ হয়।

শরৎ-পূর্ণিমায় ব্রাহ্মীর রস, বচ, কপিলা গাইয়ের দুধের ঘি এই তিন বস্তু সমান মাত্রায় মিশিয়ে কাঁসার থালায় ছড়িয়ে রাখতে হবে। এর উপর অশ্বগন্ধা দিয়ে ওঁ হ্রীং শ্রীং ক্লীং ব্লুং বদ্ বদ্ বাগ্‌বাদিনী' লিখে চাঁদ উঠলে তার জোছনায় সারা রাত থালাটাকে একটা উঁচু তাকের উপর রেখে প্রতিদিন তার থেকে অল্প অল্প খেলে বুদ্ধি বাড়তে থাকবে। 

রবিপুষা নক্ষত্রে লাজবতীর পঞ্চাঙ্গ নিয়ে ছায়ায় শুকিয়ে নিতে হবে। এবার যে ব্যক্তি কিছুদিন আগে নিখোঁজ হয়েছে তার কাপড়ে উক্ত লাজবতী বেঁধে তিনদিন ধরে রেখে দিলে নিখোঁজ ব্যক্তি শীঘ্র ঘরে ফিরে আসে।


অত্যধিক খুশিতে যদি কোনও স্ত্রীর চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসে এবং ঐ জল কোনও দুখি স্ত্রী চেটে খেয়ে নেয়, তবে তার দুঃখ দূর হয়। এই দুঃখ আর্থিক, মানসিক, শারীরিক যা-ই হোক না কেন। 

হস্তা নক্ষত্রে রবিবার পবারের শিকড় হাতে ধারণ করে যদি কোনও ব্যক্তি জুয়া খেলে তবে সে অবশ্যই জিতবে।

সুপারি গাছে জন্মানো পরগাছাকে শতভিষা নক্ষত্রে মন্ত্র দ্বারা সিদ্ধ করে ও পিষে গরুর দুধে মিশিয়ে খেলে যৌবন ধরে রাখা যায়।

যদি কোনও ব্যক্তি নিজের ডান বাহুতে করবীর পরগাছা অনুরাধা নক্ষত্রে অভিমন্ত্রিত করে বেঁধে নেয় তাহলে তার শত্রু শান্ত হয়।

বেলগাছের পরগাছা অশ্বিনী নক্ষত্রের পূর্বে নিমন্ত্রণের দ্বারা বিধিমত এনে মন্ত্রের দ্বারা অভিমন্ত্রিত করে হাতে বাঁধা যায় তবে লুপ্ত বিদ্যায় সিদ্ধিলাভ হবে।


কার্পাসের পরগাছা ভরণী নক্ষত্রে ধারণ করলে সাধক নাকি অদৃশ্য হবার সিদ্ধি লাভ করে।

মন্ত্রদ্বারা যদি থুহর -এর পরগাছা সিদ্ধ করে ধারণ করা যায় তো সাধকের | বাকসিদ্ধি প্রাপ্ত হয়। এবং তার কথা প্রভাবিত অন্যকে করে।

চকোড়ার চারার শিকড় হস্তা নক্ষত্রে এনে মন্ত্রোচ্চারণ করে তা সিদ্ধ করে ডান বাহুতে ধারণ করলে সাধক দ্যুতক্রীড়ায় সফল হয়। রবিপুষ্য যোগে চামেলির শিকড় তাবিজে ভরে বাহুতে বাঁধলে সাধকের শত্রুরা পরাজিত হয়। মন্ত্রটি নিম্নরূপ—

“ওঁ নমো ভগবতে রুদ্রায় সর্ববদনী 
ত্রৈলোক্য কাস্তরণী ছং ফট্ স্বাহা

অশুভ গ্রহ থেকে রক্ষার জন্য ডালিমগাছের পরগাছা, জ্যেষ্ঠানক্ষত্রে ধারণ করতে হবে।

খেজুর গাছের পরগাছা যদি মূলানক্ষত্রে মন্ত্রোচ্চারণ করে সিদ্ধ করে নিয়ে ডান বাহুতে ধারণ করা যায় তাহলে সাধকের শত্রু বশ হয়। ডান বাহুতেই পূর্বাগাছের পরগাছা, পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্রে সিদ্ধ করে বাঁধলে প্রত্যেক কাজে সফলতা পাওয়া যায়।

খচ্চরের দাঁত পকেটে রাখলে কখনই আর্থিক সংকটে ভুগতে হবে না। সে ব্যক্তি ধনবান না হলেও কখনই অর্থের অভাব হবে না। 

সাদা দুর্বা ও বরকী হরতাল পিষে তিলক কাটলে জগৎ মোহিত হবে। 

গুলরফুলের পলতে বানিয়ে রাতে সাদা মাখন দিয়ে তা জ্বালিয়ে কাজল তৈরি করে তিলক লাগালে জগৎ মোহিত হবে।

সাদা ধুন্ধচীর রসে ব্রহ্মদণ্ডীর শিকড় পিষে শরীরে লেপলে সবাই মোহিত হবে। 

ব্যাঙের চর্বি, ঘীগ্বারের রসে মিশিয়ে দেহে লেপলে অগ্নি স্তম্ভন করা যায়।

মাদারের রসে ঘীণ্বারের রস মিশিয়ে মুখে লেপলে অগ্নি স্তম্ভন করা যায়।

সূর্যোদয়ের আস্তে কোনও স্ত্রী-পুরুষ চৌরাস্তায় গিয়ে ছোট ওড়ের টুকরো দাঁতে কেটে সেখানেই ফেললে সে সব পীড়ামুক্ত হয়। গুড় দাঁতে কাটার সময় তার মুখ দক্ষিণ দিকে হওয়া চাই।

সহদেবী ছায়ায় শুকিয়ে এবার তার চূর্ণ পানে দিয়ে খাওয়ালে যে খাবে সে বশীভূত হবে। 


যে নিজের কপালে গুলর-এর শিকড় ঘষে তিলক লাগাবে সে সবার প্রিয়

পানে ডুমুরের শিকড় দিয়ে যাকে খাওয়াবে সে-ই বশীভূত হবে। 

সর্ষে ও দেবদাল একত্র করে গুলি বানিয়ে নিজের মুখে রেখে বার্তালাপ করলে দ্বিতীয় ব্যক্তি বশীভূত হবে।
 
যদি কারও মৃগী রোগ থাকে তবে গাধার সামনের ডান পায়ের নখ নিয়ে আংটিতে ভরে নিজের আঙুলে ধারণ করলে রোগমুক্ত হয়।

রাতে শোবার সময় যে কেউ ৭ বার মুনিরাজ আস্তিকের নাম জপ ও নমস্কার করে তার সাপের কামড়ের ভয় থাকে না। 

সহদেবীর সঙ্গে তুলসীর বীজ চূর্ণ করে ঘুটে রবিবার দিন তিলক লাগালে সাধক সবাইকে মোহিত করবে। 

কলার রসে বরকী হরতাল এবং অশ্বগন্ধাকে গোরোচনে পিষে তিলক লাগালে সবাই মোহিত হবে।

কাঁকড়া সিংঘী, চন্দন, বচ, কুট এই পাঁচ পদার্থ পিষে নিজের মুখে রেখে বস্ত্রকে ধূপ দেখালে সবাই মোহিত হবে। 

সিন্দুর, সাদাবচ পানের রসে পিষে তিলক লাগালে সবাই মোহিত হবে। ও আপাং, ভৃংগরাজ, লাজবন্তী, সহদেবী সব একসাথে পিষে তিলক কাটলে সবাই মোহিত হবে। 

যদি কোন চালু ব্যবসা চলতে চলতে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কোনও শনিবার সন্ধ্যায় হাতে একটা ছোট সুপারি ও শুদ্ধ তামার একটা সিকি নিয়ে অশ্বত্থ গাছের নিচে রেখে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে যে ফেরার সময় পিছন ফিরে দেখা চলবে না। আবার পরদিন রবিবার সকালে ঐ গাছের ছোট সুন্দর একটা পাতা নিয়ে আসতে হবে এবং ঐ পাতাটা দোকানে বা ব্যবসাস্থলে আপনার বসার গদির নিচে রাখতে হবে। চমৎকার ভাবে ব্যবসা পুনরায় চলতে শুরু করবে এবং খদ্দেররা আবার ফিরে আসবে।



হঠাৎ ধনপ্রাপ্তির জন্য শনিবার কোনও বহেড়া গাছকে ‘মম কাৰ্য্য সিদ্ধিং কুরু কুরু স্বাহা' মন্ত্র উচ্চারণ করে নিমন্ত্রণ দিয়ে আসতে হবে এবং পরদিন রবিবার সকালে ঐ গাছের একটি আস্ত পাতা নিয়ে আসতে হবে। এবার ঐ পাতাটি নিজের পকেটে বা ব্যাগে অথবা তাবিজে ভরে গলায় ধারণ করলে ধনপ্রাপ্তি

কোনও রবিবার দিন সাদা আখের শিকড় এনে তাতে ছিদ্র করে কালো রং-এর কাঁচা সুতোর ধাগা তৈরি করে নিতে হবে। এবার সেটি বাচ্চার গলায় পরিয়ে দিতে হবে। এর ফলে বাচ্চাটির কোনও কুনজর লাগবে না এবং যদি ইতিমধ্যে লেগে থাকে তাহলে তা কেটে যাবে।

রবিবার দিন যদি তাজা সবুজ লঙ্কা ও কাচা হলুদ, লেবু, লাল রঙের ধাগায়
গেঁথে নজর দোষযুক্ত স্থানে টাঙিয়ে দেওয়া যায় তবে সেখানে লাগা কুনজর সমাপ্ত হবে এবং সুখ ও সমৃদ্ধি আসবে।


সমাপ্ত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন