অশ্বত্থ গাছের উপকারিতা কিকি জেনে নিনঃ
অন্যান নামঃ বাংলায়-আশ্বথ (শুদ্ধ বাংলা-অশ্বত্থ ); গ্রামের ভাষায়ঃ বট গাছ, সংস্কৃতিতে-অশ্বত্থ: হিন্দীতে- পীপল।
অশ্বত্থ গাছের পরিচয়ঃ অশ্ববথ বৃক্ষ বটবৃক্ষের মতোই বড়, বটপাতার অগ্রভাগ গোল, অশ্বত্থর অগ্রভাগ সুচালো। এ বৃক্ষ ভারতে লোকপ্রিয় এবং পবিত্র বৃক্ষ হিসেবে পরিগণিত হয়। বাংলাদেশেও প্রচুর অশ্বত্থ বৃক্ষ দেখতে পাওয়া যায়।
ব্যবহারঃ ঔষধে এ বৃক্ষের ফল, পাতা, গাছের ছাল ও পাতার কুঁড় (অর্থাৎ মুকুল) ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
গুণঃ এ বৃক্ষ গুরু রুক্ষ, কষায় রসযুক্ত, দুষ্পাচ্য, বর্ণ প্রসাদক, শীতবীর্য ও কফাপহারক।
আময়িক প্রয়োগঃ এ বৃক্ষের ফল, পাতা, ছাল ব্রণ, পিত্তদোষ, যৌনিদোষ ও রক্তদোষ নাশক।
মাত্রাঃ তিন হতে ছয় আনা পরিমাণ।
অশ্বত্থ গাছ যে সব রোগ আরোগ্য কারকঃ-
১। বাতরক্তে অথবা রক্তদোষঃ অশ্বত্থ গাছের ছালের ক্বাথ ৫ তোলা পরিমাণ মধুসহ সেবন করলে প্রভূত উপকার পাওয়া যায়।
২। পিত্তরোগঃ অশ্বত্থ মূলের ছাল এক ছটাক পরিমাণ আধাসের পানিতে সিদ্ধ করে আধাপোয়া থাকতে নামায়ে নিয়ে তারপর ঐ ক্বাথ তিন তোলা মধুসহ সেবন করলে এক সপ্তাহের মধ্যে পিত্তরোগ আরোগ্য হয়।
৩। ফোঁড়াঃ ফোড়া উঠামাত্র অশ্বথ বৃক্ষের পাতা ফোড়ার উপর বসায়ে বেঁধে দিলে ফোঁড়া বসে যায়।
৪। দগ্ধ ক্ষতে (পোড়া ঘাযে) লাগালেঃ অশ্বথ গাছের ছাল দগ্ধ করে এবং চূর্ণ করে ক্ষতস্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৫। জ্বরে তৃঞ্চা এবং বমিভাব বৃদ্ধি পেলেঃ অশ্বথের শুষ্ক ছাল আগুনে পানি ছেঁকে অল্প অল্প পরিমাণে রোগীকে সেবন করালে প্রবল তৃষ্ণা ও বমিভাব নিবারিত হয়ে থাকে ।
৬। ধাতু দৌবল্যঃ অশ্বত্থ গাছের কলি ও মূলের ছাল ক্বাথ এক ছটার পরিমাণ মিছরি চূর্ণ ও মধুসহ সেবন করলে বিশেষ সূফল পাওয়া যায়। ৭। যৌনিগত দোষঅশ্বত্থের ক্বাথ এক ছটাক আতপ চাল ধৌত করা পানিসহ সেবন করালে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।