নামের প্রথম অক্ষর রাশি জানুন

নামের প্রথম অখর দিয়ে রাশি

ইসলামী শরিয়তে রাশি চক্রের কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না বটে তবে বিভিন্ন কেতাবে দেখা যায় যে হযরত সােলায়মান (আঃ)-এর আমলে এই রাশি চক্রের চর্চা ও বিশ্লেষণ শুরু হয়। 

তখনকার কতিপয় বিচক্ষণ জ্ঞানী ও পণ্ডিত দার্শনিক বিচার বিশ্লেষণ করেই। সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে মানুষের জীবনে সাত ছেতারার প্রভাব সর্বাধিক। এই তারকাগুলাে রাশিচক্রে অনবরত ভ্রমণ করে বেড়ায়। 

কাজেই ঐ তারকা সমূহের প্রভাব প্রতিক্রিয়া মােটামুটিভাবে বারাে প্রকারে প্রতিফলিত হয়ে থাকে।

সারা বৎসরে যেমন আমরা ১২টি মাস ও বারােটি চন্দ্র দেখতে পাই ঠিক তেমনি সমগ্র বৎসরে বারটি বুরুজ পর্যায়ক্রমে গমন করে থাকে। এ বারটি বুরুজের এক একটির আমল এক এক প্রকার। কাজেই যে কোন একটি বুরুজের আমলে পৃথিবীর যত মানুষ জন্মগ্রহণ করে তাদের ভাগ্য, আচার-আচরণ, পরমায়ু এরূপ হয়ে থাকে জগতের সকল মানুষ এই বারটি বুরুজের কোন না কোন একটির আমলে জন্মগ্রহণ করবেই। এজন্য যাবতীয় মানুষ সর্বমােট ১২ শ্রেণীর যে কোন একটির অন্তর্ভুক্ত। মানুষের এই শ্রেণীবিভাগের নামই বার রাশি।

কিন্তু কোন মানুষ কোন বুরুজের আমলে জনমগ্রহণ করেছে তা সঠিকভাবে অবগত হওয়া অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। 

এজন্য বিভিন্ন বিচক্ষণ জ্ঞানী ব্যক্তি কতগুলো সুক্ষ্ম হিসাব নিকাশের মাধ্যমে দুটো উপায়ে মানুষের রাশিফল নির্ণয় করেছেন ।

একটি দেওনামা আবজাদের হিসাব অনুসারে অন্যটি নিজের নামের প্রথম অক্ষর অনুসারে ।

প্রথম প্রকারে রাশিফল নির্ণয় নির্ভূল ও অভ্রান্ত হয়ে থাকে কিন্তু দ্বিতীয় প্রকারে সম্পূর্ণ ঠিক হতে পারে । উভয় প্রকার রাশি নির্ণয় পদ্ধতি নিম্নে দেওয়া হলোঃ

দেওনামা আবজাদ পদ্ধতি

নামের প্রথম অক্ষর দ্বারা রাশি নির্ণয়