বশিকরন

আজকে আমরা আলোচনা করব বশিকরণ কি - বশিকরণ কি সত্যি করা যায় এবং কিভাবে একজন ছেলে বা মেয়েকে কিভাবে তন্ত্র মন্ত্র দিয়ে বশিকরণ করবেন ।

আজকে আমরা আলোচনা করব বশিকরণ কি - বশিকরণ কি সত্যি করা যায় এবং কিভাবে একজন ছেলে বা মেয়েকে কিভাবে তন্ত্র মন্ত্র দিয়ে বশিকরণ করবেন সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ।

আপনি যদি সত্যি জানতে চান কিভাবে একজন মানুষকে বশিকরণ করে - কিভাবে তন্ত্র মন্ত্র দিয়ে বশিকরণ করা যায় এই বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।



বশিকরন কি

বশিকরণ শব্দের অর্থ হলঃ কোনো মানুষ বা জীব এবং বস্তুকে, নিজের ইচ্ছা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করাকে বশিকরণ বলে । 

বশীকরণ কি সত্যি হয়

হ্যা বশিকরণ সত্যি করা সম্ভব । তান্ত্রিক পদ্ধতি মতে সঠিক নিয়ম সহকারে যদি কোন ভালোবাসার মানুষের উপর বশিকরণ তন্ত্র মন্ত্র প্রয়োগ করা যায় তাহলে অব্যশই বশিকরণ করা সম্ভব ।

বশীকরণ গাছ

আপনি যদি গাছ দিয়ে কাউকে বশিকরণ করতে চাই তাহলে নিচে কয়েকটি নিয়ম দেওয়া হলঃ-
  • পঞ্চমী তিথিতে হোহুয়ে গাছের শিকড় তুলে আনতে হবে। ঐটা চূর্ণ করে পানে দিয়ে যাকেই খাওয়াবে সে-ই কাছে চলে আসবে।
  • রবিবার দিন ব্রহ্মদণ্ডী, বচ, কূট এই সব চূর্ণ করে যাকে পানের মধ্যে দিয়ে খাওয়াবে সে সদাই আপনার বশীভূত থাকবে। 
  • বটের শিকড়ের সাথে জল দিয়ে পিষে তাতে ভস্ম মিলিয়ে তিলক লাগালে সবাই বশীভূত হয় 
  • সহদেবীকে ছায়ায় শুকিয়ে রেখে তা পানে ভরে যাকে খাওয়াবে সে-ই বশীভূত হবে।

বশিকরন কুফরি নকশা

আপনি কি আপনার ভালবাসার মানুষকে কাছে পেতে চান । সব কিছু করেও কাজ হচ্ছে না আজকে আমি আপনাদের একটি কুফুরি নকশা দিচ্ছি কাজ করে দেখুন কুফুরি নকশা ১০০০% কাজ হবে গ্যারান্টি ।

কাজ করার নিয়মঃ নকশাটি মেসক জাফরান কালি দিয়ে অংকন করিবে । মোট ৫টি নকশা আঁকিবে । যাকে বশিকরন করিতে অবে তার বাড়ির দিকে মুখ করে সুগন্ধি তৈল দিয়ে নকশা টি ভিজাবে পরে মোমের আগুন দিয়ে জ্বালাবে । এই ভাবে ৫দিন কাজ করিবে । ৬দিনের দিন আপনার কাংখিত বাক্তি বাধ্য হয়ে ছুটে আসবে । এই নকশাইয় কোন ভুল নাই এবং সিদ্দি করতে হয় না , নকশাটি পরীক্ষিত ।




মেয়েদের কিভাবে বশীকরণ করা যায়

আপনি যদি কোন মেয়ে বা ছেলেকে তন্ত্র মন্ত্র দিয়ে বশিকরণ করতে চান তাহলে নিচের এই মন্ত্র প্রয়োগ করে দেখতে পারেন ।


মন্ত্রঃ ইন্না আত্বে‌ন শয়তানা
মেরা শিকল বন্‌ অমুকী কে পাছ জানা
উছে মেরে পাছ লানা
না লাবে তো তেরী বহন্‌ ভানজী পার
তী ছো তিন তালাক
কিছকা আজ্ঞে মা কালী কা আজ্ঞে ।

নিয়মঃ খাটের পায়ার কাছে উলঙ্গ হয়ে বসে উক্ত মন্ত্র ১০১ বার গুড়ের উপর জপ করে ফুক দিবে এর পর গুড় খাটের নিচে রেখে শুয়ে পড়বে সকালে উঠে সেই গুড় ছোট ছেলে-মেয়েদের ভাগ করে দিবে । তাহলে অভিলষিত নারী বশীভূত হবে এবং ৭দিনের মধ্যে তোমার সামনে আসবে ।

বিঃদ্রঃ মন্ত্রের যেখানে অমুকী শব্দ আছে সেখানে যাকে বশ করবে তাঁর নাম বলতে হবে ।

তীব্র বশীকরণ মন্ত্র

আজকে যে মন্ত্র দেবো সেটা গ্রহণে পূর্ণিমায় অথবা শনি মঙ্গলবার দিন । অমাবস্যা চলবে না । পূর্ণিমায় , গ্রহণে অথবা শনি মঙ্গলবার দিন শুদ্ধ জায়গায় বসে , শুদ্ধ পোশাক পরে ঠাকুর মন্দির মসজিদে বসে মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করঅলে সিদ্ধ হয়ে যাবে । তারপর যার জন্য আপনি করছেন অবশ্যই আপনি গোটা দুনিয়া সবাইকে নিয়ে চলতে চান না আপনি একজন স্পেশাল কোন ব্যক্তির জন্য বশীকরণ এপ্লাই করবেন সেই ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করা কালীন হঠাৎ কারণে আপনি চুপ করে গেলেন এবং মনে মনে মন মন্ত্রটি সাত বার উচ্চারণ করে নিলেন মুখ দিয়ে বলতে হবে না । সাত বার মন্ত্র পাঠ করে আপনার কাংখিত ছেলেটি বা মেয়েটিকে দেখবেন । এবং সেও যেন আপনার দিকে তাকায় বা আপনাকে দেখে । তখন বশিকরন কাজ করবে । চলুন বশিকরন মন্ত্র দেখে নেওয়া যাক ।

তীব্র বশীকরণ মন্ত্র

দুই চোক্ষে চাইলে তুমি ।
চার চোক্ষে বাঁধিলাম আমি ।
কার আজ্ঞে ?
কামুরের কামিক্ষের আজ্ঞে ।
জুম্মাপীরের দোহাই, শীঘ্র লাগ ।

মন্ত্রটি প্রয়োগ করার আগে অব্যশই গুরুর অনুমতি নিয়ে কাজ করবেন । আর খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করলে লক্ষ বার প্রয়োগ করলেও কাজ করবে না ।

বশীকরণ কাটানোর উপায়

আপনি যদি কারো বশীকরণ কাটাতে চান তাহলে নিচের মন্ত্র এবং নিয়ম ভালো করে পড়ুন ।

বশীকরণ কাটানোর মন্ত্রঃ

(১)
ত্রিশ কোটি বান হাজারো কালাম
বিসমিল্লাহ্ হরফ দিয়া অমুকের পেটের
সমস্ত জড়িবুটি তন্ত্র মন্ত্র বিদ্যার উপকরণ
কাটিয়া করিলাম তামাল ।

(২)
জগত জননী ব্রহ্ম তারিনী, উপায় উপিনি
মা ভবানী মহাদেব কাল নী
মহেশ্বর এর চরনে পড়িয়াছি উক্ত জনে
তাসি হাতে খন্ড মা খন্ডিয়ে যদি মন্ত্র নড়ে
মা কালির পদস্থল নড়ে
আঞ্জা দেব পূজিত শিবের ।


(৩)
কাট বাবা কাট রে রামের বানে কাট
ওমুকের ঘোর কাট বশীকরণ কাট
ডান কাট যোগিনী কাট, কাট ভূত পিচাশ
রামের আঞ্জায় কাট হনুমানের আজ্ঞায় কাট ।

(৪)
করাত করাত মহা করাত আমার
করাতে কি কাটে, অমুকের বেটির
অমুকের বশিকরণ কাটে ইশ্চিম কাটে
কুপ জ্ঞান কাটে, রামের বরে কাটে
সিদ্ধিরামের দোহাই ।

নিয়মঃ কারো বশীকরণ কাটাতে চাইলে উপরের চারটি মন্ত্র মুখস্ত করে একঘট নদীর জল নিয়ে মন্ত্র চারটি তিনবার করে পাঠ করে পানিতে ফুক দিয়ে সেই পানি যাকে খাওয়াবেন তার বশীকরণ কেটে যাবে ।

বশিকরন মন্ত্র বই পিডিএফ

আপনি যদি গুগলে বা বিভিন্ন জায়গায় বশিকরণ মন্ত্র পিডিএফ  খুজে না পান তাহলে এবার আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন । আমাদের কাছে তন্ত্র মন্ত্র পুরাতন বশিকরণ বই খাতার বিশাল একটি সমাহার রয়েছে । আমাদের কাছে প্রায় বাংলা ৭০০+ তন্ত মন্ত্রের পিডিএফ বই খাতা রয়েছে । আপনি যদি বই নিতে চান তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।

Imo & Whatsapp No: 01828370914

বন্ধুরা আজকের আলোচনা এখানে শেষ করলাম অন্য কোন পোস্টে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে । আজকের পোস্ট কেমন হয়ে কমেন্ট করে জানাবেন । ধন্যবাদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন