রাতে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়



ইসলামিক শাস্ত্র অনুযায়ী, রাতে বাচ্চা কান্না করলে তার মা বা দায়িত্বশীল ব্যক্তি তার মাথার উপর হাত রেখে সূরা ফাতিহা, সূরা ইখলাস এবং সূরা ফালাক পড়তে পারেন। এছাড়াও, সূরা নাস ও আয়াতুল কুরসী পড়া যেতে পারে। বিশেষত সূরা ফালাক ও সূরা নাস বাচ্চাদের নজর দূর করার জন্য বেশি প্রভাবী। আল্লাহর রহমতে তাহার কান্না কমিয়া যাইবে ।

শিশুর কান্না বন্ধের দোয়া

যদি কোন শিশু সন্তান অতিরিক্ত কান্নাকাটি করে, তবে নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করিয়া তাহার শরীরে ফুক দিবে । আল্লাহর রহমতে তাহার কান্না কমিয়া যাইবে ।

উচ্চারণঃ বিহাক্কি ওয়া ইন্নাকা লাআলা খুলুক্বি‌ন  আযীমিন্‌, ওয়া বিহাক্কি ওয়া লাইছাজ্জাকারু কাল উনছা, ওয়া ইন্নী ছাম্মাইতুহা মারইয়ামা ওয়া ইন্নী উঈযুহা বিকা ওয়া যুররিয়্যাতাহা মিনাশ্‌ শাইত্বা‌নির রায়ীম ।



বাচ্চা বেশি কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয়

বাচ্চা অধিক কান্না করলে তাকে নিম্নলিখিত সূরা পড়তে হয়ঃ

১। সূরা ফাতেহা
২। আয়াতুল কুরসি 
৩। সূরা নাস
৪। সূরা ফালাক

এই সূরা গুলো কান্নার সময় পড়লে বাচ্চার মনে শান্তি ও সান্ত্বনা হয় এবং আরাম পায়। এছাড়াও বাচ্চাকে সামান্য পানি পড়ে পান করান এবং আরাম দেওয়া উচিত। তবে, যদি কান্নার সময় কোন সমস্যা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ ।


বাচ্চাদের শরীর বন্ধের দোয়া

শিশুদের শরীর বন্ধ করার জন্য নিম্নলিখিত দোয়াটি পড়া যাকঃ

بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ الْأَرْضِ وَلَا فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লা হির রাহমানির রাহিম। আল্লাহুম্মা ইন্নি আুযু বিকা মিন শররি মা খলকতু ও বারায়ে ওস্বয শরিয়তি আলা নাফিয়াতি ওকালাতি।

অর্থঃ আল্লাহর নামে যিনি সমস্ত পৃথিবী এবং আকাশের কোন জিনিসকে নুকশান করে না এবং তিনি সমস্ত কথাকে শোন এবং সমস্ত জ্ঞানী। হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় চাই যেন আপনি আমাকে আপনার সৃষ্টির অভিন্ন অংশ থেকে এবং আপনার শরিয়তের মত কঠোরভাবে ওস্বয় শরীরের ক্ষতি থেকে ও কলহ থেকে রক্ষা করেন।

এছাড়াও, শিশু যদি বেশি কান্না করে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নেওয়া উচিত।



শিশুর কান্না বন্ধের আমল

শিশুর কান্না বন্ধ করার জন্য কিছু প্রচলিত আমল হলোঃ

শিশুকে নিয়মিতভাবে কান পরিষ্কার রাখতে হবে। না হলে আমস বা পানির জল দিয়ে কান পরিষ্কার করতে হবে।

শিশুকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সম্ভব হলে শিশুর ঘুম পুর্ণতা নিশ্চিত করা উচিত।

শিশুকে প্রাকৃতিক সঙ্গী হিসেবে সামান্য শব্দে সুস্বাস্থ্যকর সূরা শোনানো যেতে পারে।

শিশুর মাথার উপর স্পষ্টভাবে হাত রেখে পবিত্র দোআ পড়া যেতে পারে।


সূরা ফালাক, সূরা নাস, আয়াতুল কুরসী এবং সূরা ইখলাস পড়া যেতে পারে।

শিশুকে কম সময়ের জন্য শিশুদের কথা বলা বন্ধ রাখা উচিত। বরং শিশুকে খেলার সাথে নিয়মিত সময় কাটানো উচিত।

এছাড়াও, শিশুর কান্না বন্ধ না হলে অবশ্যই বাচার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বাচ্চাদের শরীর বন্ধের তাবিজ

যদি কোন শিশু নিদ্রার মধ্যে চমকিয়া উঠিলে ও কাঁদিলে নিচের আয়াত এবং সূরায় নাছ ও ফালাক্ব‌ লিখিয়া কবজ বানাইয়া শিশুর গলায় দিলে শিশু ঘুমের মধ্যে ভয় পাইয়া কাঁদিবে না ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন