আজ আবার অনেকদিন পর এই খনার বচনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আপনারা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু খনার বচন সম্পর্কে এই পোস্টে আপনাদের জানাবো । কোনরকম ঔষধ ছাড়া একদম ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে আপনি পুরোপুরি রোগমুক্ত থাকতে পারবে । সঙ্গে জানবেন কোন রোগ হলে আমরা কোন ঘরোয়া উপায়ে সেই রোগ থেকে মুক্তি পাব । বন্ধুরা এই পোস্ট আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে । আজকের দিনে আমরা কোন রোগে হলে খুব তাড়াতাড়ি ঔষধ খেয়ে নিন এর ফলে ওই ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আমাদের পরবর্তীতে অনেক ভুগতে হয় তাই আমাদের হাতের সামনে এমন অনেক জিনিস রয়েছে ব্যবহার করে আমরা অনেক রোগ থেকে নিস্তার পেতে পারি এই পোস্টে আজ আপনারা দেখতে পারবেন আজ থেকে হাজার বছর আগে বলা খনার বচন গুলি আজও কতটা আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক আজও কতটা আমাদের কাছে উপযোগী অনুগ্রহ করে পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। আর ভালো লাগলে অনুগ্রহ করে বন্ধুদের মাঝে সেয়ার করবেন । ধন্যবাদ
১। বেঁধে রাখো কদমের পাতা
সেরে যাবে সকল ব্যথা ।
খনা বলছেন কোথাও যদি আপনার চোট লাগার ব্যথা থাকে । সেখানে যদি আপনি কদম গাছের পাতা বেঁধে রাখেন সেই জায়গায় ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায় । অর্থাৎ তিনি বলছেন কদম গাছের পাতা আপনার ব্যথাযুক্ত জায়গায় বেঁধে রাখলে সেখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি ব্যথা সেরে যায় ।
২। কৃমি যদি সারাতে চাও
কদম পাতার রস খাও ।
কারো যদি কৃমি হয়ে থাকে তাহলে খনা বলছেন কদম গাছের পাতার রস খেলে পেটের কৃমি ভালো হয়ে যাবে ।
৩। থানকুনি পাতার রসে
আমাশয়ের ওষুধ আছে ।
কারো যদি আমাশা হয় অর্থাৎ পেট খারাপ হয় সেই আমাশা হলে খনা বলেছেন থানকুনি পাতার রস খেতে থানকুনি পাতার রসে নাকি আমাশয় রোগের ওষুধ রয়েছে ।
৪। গোলমরিচ আর আদা খায়
খনা বলে তার রোগ পালায় ।
অর্থাৎ খনা এখানে বলছেন যিনি আদা ও গোলমরিচ প্রতিদিন খায় তার শরীরে আলাদা একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় । সেই জন্য তার শরীরে কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারে না । বাসা বাধলে ও সেই রোগ তাড়াতাড়ি তাঁর দেহ থেকে পলায়ন ।
৫। সারায় কাশি তুলসীর রস
জ্বরের ওষুধ শিউলির রস ।
কারো যদি কাশি হয় তাহলে খনা বলছেন তাকে তুলসীপাতার রস খেতে । কারো যদি খুব জ্বর হয় তাকে শিউলি পাতার রস খেতে অর্থাৎ তুলসী পাতার রস খেলে কাশি দূর হয় আর জ্বর দূর হয় শিউলি পাতার রস খেলে ।
৬। বাসক পাতার এমন গুন
পুরোনো কাশে ধরে ঘুন ।
আমাদের মধ্যে অনেককে দেখা যায় যে, অনেকের খুব পুরনো দিনের কাশি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । অনেক ডাক্তার দেখিয়েও আর কোন লাভ হচ্ছে না । আপনার সঙ্গে ও আপনার পরিবারের সঙ্গে যদি এরকম হয় এর কারণ পুরনো দিনের কাশি হয়েছে কিছুতেই সে কাশি কমছে না । সেক্ষেত্রে বাসক পাতার রস খেতে দিন । বাসক পাতার রস খেলে পুরনো দিনের কাশিও খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায় ।
এবার আপনারা খনার বচনে আরো জানবেন যে কোন মাসে কোন ফল বা কোন সবজি খেলে আমরা রোগ মুক্ত থাকতে পারবো বা কোন সবজি কোন মাসে খেলে আমাদের কোন রোগ সারে ।
৭। বারো মাসে বারো ফল
না খেলে যায় রসাতল ।
অর্থাৎ একেক দিনে একেক রকম ফল খেতে বলা হয়েছে । যে মাসের ফল সেই মাসে খেতে বলছেন । আমরা কোল্ডস্টোরের ফল বা সবজি খায় এটা আমাদের পক্ষে একদমই ঠিক নয় তিনি বলছেন বারো মাসে বারো ফল অর্থাৎ যে মাসে যে ফল হয় সেই ফল খাওয়া উচিত আর সেই সবজি খাওয়া উচিত ।
৮। ভাদ্রে ওল আশ্বিনে কল
কার্তিকে কচুতে বারে বল ।
ভাদ্র মাসে ওল খেতে আশ্বিনের ফল । ফল বলতে নারিকেল ভিতরে যেটা থাকে সেটার কথা বলা হয়েছে । কার্তিক মাসে কচু খেতে বলছে অর্থাৎ ভাদ্র আশ্বিন কার্তিক মাসের কচু খেতে বলছে তাহলে কি হয় তাহলে সেই ব্যক্তির বল বারে অর্থাৎ শরীরের শক্তি বাড়ে বা অন্যভাবে বলতে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ।
৯। মাঘে পান্তা বাঘের বল
শোলে মূলে মাছের ঝোল ।
খনা বলছেন মাঘে পান্তা, পান্তা ভাত খেলে বাঘের বলা হয় অর্থাৎ কেউ যদি মাঘে পান্তা খায় তাহলে প্রচন্ড বড় হয় অর্থাৎ প্রচণ্ড শক্তি হয় একটি বাঘের যে শক্তি থাকে সেই সমান শক্তি হয় । শোল মাছের ঝোল অর্থাৎ মূল্য দিয়ে শোল মাছ খাওয়ার কথা বলছেন ।
১০। পৌষে ছোলা মাঘে জল
তবে হবে গায়ে বল ।
খনা বলছেন পৌষ মাসের ছোলা খেলে এবং মাঘ মাসের জল খেতে হবে ।অর্থাৎ কেউ যদি পৌষ মাসের ছোলা খায় এবং মাঘ মাসে যথেষ্ট পরিমান জল সেবন করে তাহলে তার শরীরে শক্তি হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং তাঁর শরীরে যদি কোনো রোগ থাকে সেই রোগ খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায় ।
১১। চৈত্র মাসে মুসুর ডালে
চোখ নষ্ট সদাই খেলে ।
চৈত্র মাসে কেউ যদি মুসুরির ডাল সর্বদা খেয়ে থাকে । অর্থাৎ সব সময় মুসুরির ডাল চৈত্র মাসে খায় তাহলে তাঁর চোখ নষ্ট হয়, অর্থাৎ তাঁর দৃষ্টিশক্তি কমে যায় । সেই জন্য খনা চৈত্র মাসে মুসুরির ডাল খাওয়ার কথা বারণ করেছে ।