পবিত্র আশুরা ২০২৩ | আশুরার ফজিলত | আশুরা কবে ২০২৩

পবিত্র আশুরা ২০২৩, আশুরার ফজিলত, আশুরা কবে ২০২৩, মহরমের ১০ তারিখ কবে ২০২৩, মহরম কত তারিখে ২০২৩, আশুরার রোজা কয়টি, আশুরার বন্ধ কত তারিখ, ১০ মহররম ২০২৩, মহরম মাসের ফজিলত, আশুরা কি, আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৩, মহররম মাসের ঘটনা, মহররম মাসের রোজা কয়টি, মহররম মাসের ফজিলত আল কাউসার, মহররম মাসের ফজিলত মাসিক আল কাউসার, মহরম মাসে বিয়ে করা যাবে, মহরম মাসের আমল, মহরম মাস ২০২৩, সফর মাসের ফজিলত, আশুরায় ঘটে যাওয়া ঘটনা, মহররম ২০২৩, ১০ই মহররমের ইতিহাস, মহররম মাসের তাৎপর্য, ১০ ই মহররমের ফজিলত, মহরম কেন পালন করা হয়, মহরম সম্পর্কে আলোচনা, ১০ই মহররম আশুরা,

মহরম কেন পালন করা হয়

মহরম হলো ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এটি মুসলমানদের জন্য একটি নৈতিক সংশোধনের সময়, যা তারা তাদের পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়ার এবং আল্লাহর কাছে কাছে আসার জন্য ব্যবহার করে। মহরম পালন করা হয় ইমাম হোসেন (আঃ) এবং তার অনুসারীদের কারবালার যুদ্ধে শহীদ হওয়ার স্মরণে। এটি ঐতিহাসিকভাবে একটি শোক ও ত্যাগের সময়, কিন্তু এটি নতুন বছরের শুরুও।

মহরম পালনের জন্য, মুসলমানরা সাধারণত ১০ দিনের জন্য রোজা রাখে। তারা এছাড়াও মসজিদে নামাজ পড়ে, কুরআন পাঠ করে এবং ইমাম হোসেন (আঃ) এবং তার অনুসারীদের জন্য দোয়া করে। মহরম উপলক্ষে অনেক দেশে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতাও পালিত হয়, যেমন মিছিল, সমাবেশ এবং নৃত্য।

মহরম হলো মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যা তারা তাদের ধর্ম এবং ইতিহাসের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহার করে। এটি একটি সময় যখন তারা তাদের পাপের জন্য ক্ষমা চায় এবং আল্লাহর কাছে কাছে আসে। মহরম হলো শোক, ত্যাগ এবং নতুন বছরের শুরুর সময়।

মহরম এর ইতিহাস

মহররম ইসলামের প্রথম মাস। এটি একটি পবিত্র মাস এবং মুসলমানরা এই মাসে রোজা রাখে। মহরমের রোজা রাখলে অনেক পুণ্য লাভ করা যায়।

মহরমের ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধ। এটি একটি মাস যেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। মহরমের প্রথম দিনটি হল আশুরা। আশুরা একটি শোক দিবস। এটি সেই দিনটিকে স্মরণ করে পালন করা হয় যখন ইমাম হোসাইন (আ.) এবং তাঁর পরিবার ও সঙ্গীরা কারবালায় শহীদ হন।
মহরমের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলঃ
  • নূহ (আ.) এর নৌকা নোঙ্গর করা হয়েছিল।
  • আব্রাহাম (আ.) কে আগুন থেকে রক্ষা করা হয়েছিল।
  • মূসা (আ.) এবং তাঁর অনুসারীরা নীল নদ পার হন।
  • ইয়াহুদীরা মক্কা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিল।
  • রাসূল (স.) হিজরত করে মদিনায় আসেন।
  • মহররম একটি পবিত্র মাস। এটি একটি মাস যেখানে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করে।

মহরমের রোজা কত তারিখে ২০২৩

আশুরা মহররম মাসের ১০ তারিখ অনুষ্ঠিত হয়। এবং এ বছর ইংরেজি মাসে আশুরা পালিত হবে জুলাই মাসের ২৯ তারিখ রোজ শনিবার ।

মহররম ইসলামের প্রথম মাস। এটি একটি পবিত্র মাস এবং মুসলমানরা এই মাসে রোজা রাখে। মহরমের রোজা রাখলে অনেক পুণ্য লাভ করা যায়।

মহরমের রোজা রাখার ফজিলতসমূহ হল

  • আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
  • পাপ থেকে মুক্তি লাভ করা।
  • নেক আমলের সওয়াব বৃদ্ধি করা।
  • দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্য করা।
  • শরীরকে সুস্থ রাখা।
  • আত্মশুদ্ধি অর্জন করা।
মহরমের রোজা রাখার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যেমনঃ
  • রোজা রাখার আগে ভালো করে খাওয়া।
  • রোজা রাখার সময় প্রচুর পানি পান করা।
  • রোজা রাখার সময় উত্তেজনা বা রাগ না করা।
  • রোজা রাখার সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া।
মহরমের রোজা মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ উপহার। এটি একটি সুযোগ যেখানে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে এবং পাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে।

মহরমের ১০ তারিখ কবে ২০২৩

মহরমের ১০ তারিখ ইংরেজি মাসের ২৯/০৭/২০২৩ তারিখে ।

আশুরার রোজা কয়টি

আশুরার রোজা মোট তিনটি রাখা হয় ।
আশুরার রোজা একটি নফল রোজা। এটি মহররম মাসের দশম দিনে রাখা হয়। আশুরার রোজা রাখার ফজিলত অনেক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আশুরার দিন রোজা রাখবে, সে যেন সারা বছর রোজা রেখেছে।” (বুখারি ও মুসলিম)

আশুরার দিন রোজা রাখার জন্য দুটি সুন্নত পন্থা রয়েছে। একটি হল, মহররম মাসের নবম দিনও রোজা রাখা। আরেকটি হল, দশম দিনের রোজা রাখার পর একাদশ দিনও রোজা রাখা।

আশুরার দিন রোজা রাখার জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে, অধিকাংশ মানুষ সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখে।

আশুরার দিন রোজা রাখার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, রোজা রাখার আগে ভালো করে খাওয়া, রোজা রাখার সময় প্রচুর পানি পান করা এবং রোজা রাখার সময় উত্তেজনা বা রাগ না করা।

আশুরার রোজার ফজিলত

আশুরার রোজার ফজিলত অনেক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আশুরার দিন রোজা রাখবে, সে যেন সারা বছর রোজা রেখেছে।” (বুখারি ও মুসলিম)

আশুরার দিন রোজা রাখার আরও কিছু ফজিলত হলঃ
  • আশুরার দিন রোজা রাখা পাপ থেকে মুক্তি দেয়।
  • আশুরার দিন রোজা রাখা নেকি ও পুণ্যের কাজ বৃদ্ধি করে।
  • আশুরার দিন রোজা রাখা শরীরকে সুস্থ রাখে।
  • আশুরার দিন রোজা রাখা আত্মশুদ্ধি অর্জন করে।
আশুরার দিন রোজা রাখার জন্য দুটি সুন্নত পন্থা রয়েছে। একটি হল, মহররম মাসের নবম দিনও রোজা রাখা। আরেকটি হল, দশম দিনের রোজা রাখার পর একাদশ দিনও রোজা রাখা।

আশুরার দিন রোজা রাখার জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে, অধিকাংশ মানুষ সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখে।

আশুরার দিন রোজা রাখার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, রোজা রাখার আগে ভালো করে খাওয়া, রোজা রাখার সময় প্রচুর পানি পান করা এবং রোজা রাখার সময় উত্তেজনা বা রাগ না করা।

আশুরার রোজা রাখার নিয়ত

আশুরার রোজা রাখার নিয়ত হল
"আমি আগামীকাল মহররম মাসের দশম দিনের রোজা রাখছি, আল্লাহর জন্যই, পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে, এবং শুধুমাত্র তাঁরই জন্য।"

আশুরার রোজা রাখার নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট। তবে, মুখে বলাও ভাল।

মহরম বা আশুরার ঐতিহাসিক ঘটনা

মহরম ইসলামের প্রথম মাস এবং শিয়া মুসলমানরা এটিকে তাদের পবিত্রতম মাস হিসাবে বিবেচনা করে। মহরমের দশম দিনে আশুরা উদযাপিত হয় এবং এটি শিয়া মুসলমানদের জন্য একটি শোক দিবস। আশুরার দিনটিকে স্মরণ করে পালন করা হয় যখন ইমাম হোসাইন (আ.) এবং তাঁর পরিবার ও সঙ্গীরা কারবালায় শহীদ হন।

ইমাম হোসাইন (আ.) ছিলেন নবী মুহাম্মদ (স.)-এর নাতি এবং আলী (আ.)-এর পুত্র। তিনি ছিলেন একজন মহান ধার্মিক ব্যক্তি এবং তিনি ইসলামের সত্যিকারের উত্তরাধিকারী ছিলেন। ইয়াজিদ (আ.) ছিলেন একজন অত্যাচারী শাসক এবং তিনি ইমাম হোসাইন (আ.)-কে কারবালায় আক্রমণ করতে বলেন। ইমাম হোসাইন (আ.) এবং তাঁর পরিবার ও সঙ্গীরা মাত্র ৭২ জন ছিলেন এবং তারা ইয়াজিদের বিশাল সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারেননি। ইমাম হোসাইন (আ.) এবং তাঁর পরিবার ও সঙ্গীরা সকলেই শহীদ হন এবং তাদের শহীদ হওয়ার ঘটনাটি শিয়া মুসলমানদের জন্য একটি বড় বেদনা।

আশুরার দিনটি শিয়া মুসলমানরা শোক পালন করে। তারা ইমাম হোসাইন (আ.) এবং তাঁর পরিবার ও সঙ্গীদের জন্য নামাজ পড়ে, তাদের স্মৃতিচারণ করে এবং তাদের জন্য মাতম করে। তারা এদিন রোজাও রাখে। আশুরার দিনটি শিয়া মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং তারা এদিন তাদের ঈমানকে আরও দৃঢ় করে।

tag...
পবিত্র আশুরা ২০২৩, আশুরার ফজিলত, আশুরা কবে ২০২৩, মহরমের ১০ তারিখ কবে ২০২৩, মহরম কত তারিখে ২০২৩, আশুরার রোজা কয়টি, আশুরার বন্ধ কত তারিখ, ১০ মহররম ২০২৩, মহরম মাসের ফজিলত, আশুরা কি, আরবি মাসের নাম ক্যালেন্ডার ২০২৩, মহররম মাসের ঘটনা, মহররম মাসের রোজা কয়টি, মহররম মাসের ফজিলত আল কাউসার, মহররম মাসের ফজিলত মাসিক আল কাউসার, মহরম মাসে বিয়ে করা যাবে, মহরম মাসের আমল, মহরম মাস ২০২৩, সফর মাসের ফজিলত, আশুরায় ঘটে যাওয়া ঘটনা, মহররম ২০২৩, ১০ই মহররমের ইতিহাস, মহররম মাসের তাৎপর্য, ১০ ই মহররমের ফজিলত, মহরম কেন পালন করা হয়, মহরম সম্পর্কে আলোচনা, ১০ই মহররম আশুরা,

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন